Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

জেলেদের হামলায় কালুখালীর মৎস্য কর্মকর্তা-পুলিশসহ ৯জন হাসপাতালে

॥মোক্তার হোসেন॥ পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের ১৫তম দিন গতকাল ২৩শে অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে নদী তীরবর্তী জেলেদের হামলায় কালুখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম ও কালুখালী থানার এএসআই আতিকুর রহমান এবং ২জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৯জন কমবেশী আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহতদের মধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম, পুলিশ কনস্টবল হাফিজ ও চাঁদ আলী মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউপির পূর্ব চরআফড়া কাটাখালের মাথায় পদ্মা নদীতে ২৩শে অক্টোবর বিকেল ৫টায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আফরোজের নেতৃত্বে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও থানা পুলিশের একটি দল পদ্মা নদীতে অভিযানে অংশ নেয়।
অভিযানকালে নদীতে মাছ ধরা একটি নৌকা ধাওয়া করলে নৌকাটি দ্রুত কূলে ফিরলে আভিযানিক দলের মৎস্য দপ্তরের লোকজন নৌকা কুপিয়ে ও শাপল দিয়ে নৌকা ছিদ্র করাকালীন সময়ে নদী তীরবর্তী জেলেদের লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে আভিযানিক দলের উপর চড়াও হয়। নদীর তীর থেকে হামলাকারীরা তাদের লক্ষ্য করে ইটের খোয়া ছুড়ে মারে। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম, কালুখালী থানার এএসআই আতিকুর রহমান, পুলিশ কনস্টবল সজল মিয়া ও হাফিজ, চাঁদ আলী মিয়া, ইব্রাহিম শেখ, নিরঞ্জন সরকার, সাবু কাজী ও বোরহান খান আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ বন্দুক দিয়ে ১১ রাউন্ড এবং পিস্তল দিয়ে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা যায়। সংঘবদ্ধ জেলে পরিবারের শতাধিক লোকজন হয়ে এ হামলায় অংশ নেয়।
গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে পদ্মা নদীতে নামে মোবাইল কোর্ট। রতনদিয়া ইউপির সাদারচর হয়ে পাংশার হাবাসপুর ইউপির পূর্ব চর আফড়া সীমানায় অভিযান চলে। পদ্মা নদীর পাংশা সীমান্তে অভিযান নিয়ে ওই এলাকার জেলেদের একটি অংশ পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা আঁটছিল। গতকাল বুধবার বিকেলে সুযোগ পেয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে লোকমুখে গুঞ্জন ওঠে।
হামলায় আহতদের পাংশা হাসপাতালে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ লাবীব আব্দুল্লাহ এবং পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ ও কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল হাসান পাংশা হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ লাবীব আব্দুল্লাহ মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে জোটবদ্ধ জেলেদের হামলায় কালুখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম ও কালুখালী থানার এএসআই আতিকুর রহমান ও ২জন পুলিশ কনস্টবল আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনি আওতায় আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।