Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীতে ইলিশ ধরতে গিয়ে আটক দুই পুলিশ

॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ রাজবাড়ীতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদী থেকে ইলিশ আহরণরত অবস্থায় জনতা ও ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে আটক ২জন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল ২২শে অক্টোবর সকালে অবৈধ ইলিশ শিকারীদের ধরতে অভিযানে থাকা ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে রাজবাড়ী শহরের গোদার বাজার ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সের সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই) মোঃ শফিকুল ইসলামকে এবং সদর উপজেলার ধাওয়াপাড়া ঘাট এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা ইলিশ আহরণের সময় কোর্ট পুলিশের কনস্টেবল ওসমান গণিকে আটক করে।
জানা গেছে, রাজবাড়ী শহরের গোদার বাজার ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে একটি জেলে নৌকা থেকে সকালে রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ শফিকুল ইসলামসহ নৌকায় থাকা ১৬জন জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফুজ্জামানসহ র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান ও অন্যান্য র‌্যাব সদস্যগণ এবং মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুলিশের পোশাকসহ হাতে নাতে আটক করে।
এরপর অভিযান পরিচালনাকারী ভ্রাম্যমান আদালত এএসআই শফিকুল ইসলামকে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এবং ১৬জন জেলেকে ৯দিনের কারাদন্ড প্রদান করে।
অপরদিকে কোর্ট পুলিশের কনস্টেবল ওসমান গণিকে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে ইলিশ আহরণের সময় স্থানীয় জনগণ আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে আটকে রাখার খবর পেয়ে রাজবাড়ী সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জাহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
আটক পুলিশ সদস্যরা প্রতিদিন রাতে কিছু দালালের সহযোগিতায় নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে মা ইলিশ ধরতো। এছাড়াও তারা জেলেদের কাছ থেকে জোর করে ইলিশ নিতো বলেও অভিযোগ রয়েছে।
রাজবাড়ী নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ভোর ৪টা থেকে নদীতে অভিযান শুরু করি। আমাদের সাথে র‌্যাব সদস্যরা ছিল। নদীতে অভিযান চলাকালে একটি নৌকা ধাওয়া করে পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলামকে আটক করি। সে ওই নৌকায় ইউনিফর্ম খুলে কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ ধরছিল।
আটকৃকৃত পুলিশ সদস্যদের ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম(বার) বলেন, জেলা পুলিশের কোন সদস্যের কোন ধরনের অনৈতিক কাজ সহ্য করা হবে না। সে কারণে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে।