॥শিহাবুর রহমান॥ ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে গতকাল ২৭শে এপ্রিল দুপুরে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে “সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আলেম ওলামাদের করণীয় শীর্ষক” প্রশিক্ষণ ও দাওয়াতী মাহফিল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।
জেলা প্রশাসক জিনাত আরা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ খানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার সালমা বেগম,পিপিএম-সেবা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডঃ এম.এ খালেক ও জামিয়া মোহাম্মাদীয়া উলুম কওমী মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা জহিরুল ইসলাম মিঞা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করে জঙ্গিবাদ কায়েম করছে তাদের কর্মকান্ড থেমে নেই। অনেক মাদ্রাসার প্রধানরা এই জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত আছে। তাদের চিহ্নিত করে পুলিশ সুপারকে জানাবেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে কাউকে ছাড় দেন না। ২০১৪ সালে যারা নির্বাচনে আসল না তারা প্রথমে হরতাল দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে নামানোর চেষ্টা করলো। এতে যখন তারা ব্যর্থ হলো তখন তারা পেট্রোল দিয়ে মানুষ পোড়ানো শুরু করলো। তাতেও যখন তারা ব্যর্থ হলো তখন বিদেশে বসে তারা বিদেশীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করলো। তারা ভেবে ছিল বিদেশীদের হত্যা করলে আওয়ামী লীগ সরকার বর্হিবিশ্বের চাপে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি।
তিনি বলেন, টেলিভিশনে প্রতিনিয়ত কিছু লোক মিথ্যাচার করছে। তারা ধর্মের নামে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। এ কথাগুলো আলেম ওলামা মসজিদের ইমামদেরকে বলতে হবে। শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, বস্তুবাদীরা ইসলামকে ধোকা দিয়ে দ্বীনের নামে ইসলামকে বিকৃতি করে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে তাদের ফায়দা লুটে যাচ্ছে। এদের চিহ্নিত করে প্রতিহত করতে হবে। এলেম ওয়ালা আলেম তৈরী করতে হবে।
রাজবাড়ীতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আলেম ওলামাদের করণীয় শীর্ষক” প্রশিক্ষণ
