Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

লক্ষ্মীকোল ও সোনাকান্দরে ২শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকের সর্বনাশ ঃ পুঁড়ে গেছে টিভি ও ফ্রিজ

॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী শহরের লক্ষ্মীকোল ও সোনাকান্দর এলাকায় পাওয়ার হাউজ ফিডারের ২২০ কেভি বৈদ্যুতিক লাইনের ২টি খোলা তারের নেগেটিভ ও পজিটিভ এক হয়ে ২শতাধিক বাড়ীর টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, লাইট, চার্জারসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। গতকাল ২১শে এপ্রিল দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা এ জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।
জানাগেছে, লক্ষ্মীকোল গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেকের বাড়ীর সামনে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার সংলগ্ন লাইনে ২টি খোলা তার একসাথে লুজ হয়ে মিশেছিল। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার অভিযোগ করার পর গতকাল ২১শে এপ্রিল সকালে ওই লাইন মেরামত করতে যান লাইনম্যানরা। কিন্তু লুজ হয়ে ঝুলে থাকা তার টান না করে সেভাবেই রেখে আসে লাইনম্যানরা। ফলে দুপুরে সামান্য বাতাসে ওই তার দুটি এক হয়ে নেগেটিভ পজিটিভ হয়ে গেলে দ্বিগুন ভোল্টেজে রূপ নেয়। তখন ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ীর লাইট বিস্ফোরিত হওয়াসহ টিভি-ফ্রিজ থেকে ধোঁয়া উঠতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রইচ উদ্দিন ডিউক বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ততক্ষণে ২শতাধিক বাড়ীর টিভি, ফ্রিজ, ফ্যানসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ গ্রাহক রেনু বেগম জানান, তার বাড়ীতে ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ ও ৩টি লাইট পুড়ে ধোঁয়া ও গন্ধ বের হতে থাকলে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
মাজেদ মন্ডল জানান, কয়েকদিন আগে তিনি নতুন একটি ফ্রিজ কিনেছেন। কিন্তু এ ঘটনায় ফ্রিজটি নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সাথে বাড়ীতে থাকা ২টি টিভিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই কথা জানান রায়হান, ডাবলু মিয়া, আমির সোহেলসহ অনেকে। হাবিব নামে এক গ্রাহক জানান, টাকা ছাড়া বিদ্যুতের লোকজন কাজ করে না।
আমির সোহেল জানান, এলাকাটি রাজবাড়ী পৌরসভার মধ্যে হলেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে খোলা তার হয়েছে। এছাড়াও এখানে পৌরসভার সড়ক বাতি নেই। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই আজ এ ঘটনা ঘটেছে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক জানান, একাধিকবার বিদ্যুতের নিবাহী প্রকৌশলী ও এই ফিডারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী তনয় কুমার দাসকে জানানো হলেও তারা কোন গুরুত্ব দেননি। ফলে খোলা দুই তার এক হয়ে এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে পাওয়ার হাউজ ফিডারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী তনয় কুমার দাস জানান, বিদ্যুতের শর্ট সাকিট হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এটা একটা দুর্ঘটনা মাত্র।