Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বালিয়াকান্দিতে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড

॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিতে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী (১১)কে গণধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় গত ২৮শে আগস্ট আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৯টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়ীয়া গ্রামে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বালিয়াকান্দি থানার মামলা নং-১৫। ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(১)/৩০ তৎসহ ৩১৩ দঃ বিঃ। মামলার আসামীরা হলো ঃ ভেল্লাবাড়ীয়া গ্রামের রবিউলের ছেলে শয়ন(২০), আড়াবাড়ীয়া গ্রামের ইউসুফ শেখের ছেলে সাইদুর রহমান, ভেল্লাবাড়ীয়া গ্রামের আবু বক্কার মোল্লার ছেলে আশরাফুল ইসলাম রনি ও একই গ্রামের ছাদেক সরদারের ছেলে বিল্লাল।
জানা যায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাশের বাড়ীতে টিভি দেখতে যাওয়ার সময় পেছন থেকে প্রতিবেশী চাচা ইলিয়াছ ওই ছাত্রীকে ডাক দেয়। ইলিয়াছের ডাকে ওই ছাত্রী দাঁড়ালে সে তার মুখ চেপে ধরে পাশ^বর্তী একটি আম বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই একই গ্রামের শয়ন, আশরাফুল ইসলাম রনি ও পাশর্^বর্তী আড়াবাড়ীয়া গ্রামের সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলো। এরপর তারা ৪জন তাকে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য তারা তাকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।
পরবর্তীতে ধর্ষণের ফলে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হলে অভিযুক্তদের আত্মীয় প্রতিবেশী বিল্লাল সরদারের পরামর্শে স্থানীয় এক বাড়ীতে তাকে গর্ভপাত করানো চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেখানে জটিলতা সৃষ্টি হলে গত ১৯শে জুলাই রাজবাড়ী শহরের এক ক্লিনিকে তার গর্ভপাত করা হয়। গর্ভপাতের ফলে ওই ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে গত ২৬শে জুলাই তাকে বালিয়াকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭শে জুলাই তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেন। কিন্তু মামলায় স্থানীয় সেলিম নামে এক প্রভাবশালীর প্ররোচনায় প্রধান অভিযুক্ত আসামী ইলিয়াছের নাম বাদ পড়ে যায়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে থানায় রেকর্ড করার নির্দেশ দিলে গত ২৮শে আগস্ট বালিয়াকান্দি থানায় রেকর্ড হয়।
গত ২৯শে আগস্ট ওই ছাত্রীকে আদালতে হাজির করা হলে গণধর্ষণের বর্ণনা করে সে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী প্রদান করে।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি(তদন্ত) ওবায়দুল হক মামলাটি তদন্ত করছেন। তবে এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।