Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

টুং-টাং শব্দে মুখরিত কামারপাড়া॥ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজবাড়ীর কামাররা

॥মাহফুজুর রহমান॥ আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকার কামাররা।
লোহার টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রতিটি কামার পাড়া ও দোকানগুলো। হারিয়ে যেতে বসা বাংলার প্রাচীন কামার শিল্প যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকার কামারপট্টি ঘুরে দেখা গেছে, কামারা পশু জবাইয়ের ছোরা, চাপাতি, চাকু, দা, বটি, কুড়ালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরীতে ব্যস্ত রয়েছে। সারা বছর টুক-টাক কাজ থাকলেও কোরবানীর ঈদের সময় কামার শিল্প মুখরিত হয়ে উঠে। কামারদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুগুণে।
কোরবানীর পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনতে ও ধার দিতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, কোরবানীর গরু কেনা হয়ে গেছে। জবাইয়ের পুরনো কিছু সরঞ্জামে ধার দিতে এবং নতুন চাপাতি কেনার জন্য এসেছি। কিন্তু লোহা ও কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশী দাম দিয়েই এগুলো ধার দেয়া ও কিনতে হচ্ছে।
কামাররা জানান, কোরবানীর সময়ে নতুন অস্ত্র বানানো ও মেরামতের ভীড় হয়। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত তাদের ব্যস্ততা থাকে। বাজারে লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ লোহা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা ও গাড়ীর পাতি ৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি ক্রয় করতে হয়। পশু জবাই করার সরঞ্জামের আকৃতির উপর দাম নির্ভর করে।
গোয়ালন্দ মোড়ের হারান কর্মকার জানান, বড় চাপাতি ৭/৮শত, বড় ছোরা ৩/৪শত, চাকু ১৫০/২৫০ ও বটি ২৫০/৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে সবকিছুর দ্রব্যমূল্য বেশী হলেও সেই অনুযায়ী দাম পাওয়া যায় না। এ জন্য সারা বছরই সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়।