॥স্টাফ রিপোর্টার॥ একাদশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনুকূলে বন্টনকৃত সংরক্ষিত মহিলা আসনের শূন্য পদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালমা চৌধুরী রুমা আজ ২৫শে জুলাই দুপুরে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে রিটার্নিং অফিসার (যুগ্ম-সচিব) মোঃ আব্দুল বাতেনের কাছে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
নির্বাচনের ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী আগামী ২৮শে জুলাই মনোনয়নপত্র বাছাই, ১লা আগস্ট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ১৮ই আগস্ট ভোট গ্রহণের দিন ধার্য্য করা হয়েছে। সাধারণত আর কোন প্রার্থী না থাকলে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনই একক মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আজ ২৫শে জুলাই দুপুরে রিটার্নিং অফিসারের কাছে একমাত্র প্রার্থী সালমা চৌধুরী রুমা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ইকবাল-উর-রহিম ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডঃ রেজাউল করিম কাওছার উপস্থিত ছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে আগামী ১লা আগস্ট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষ দিন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত ঘোষিত হবেন। ফলাফল ঘোষণার পর জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক তার শপথ গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৩৪ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফরিদপুরের রুশেমা ইমাম গত ১০ই জুলাই মারা গেলে তার আসনটি শূন্য হয়। তার ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান রাজবাড়ীর সালমা চৌধুরী রুমা।
সালমা চৌধুরী রুমা রাজবাড়ী-১ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য এডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর কন্যা। গত ১৯শে জুলাই আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন যাওয়ার আগে তার মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। সেদিনই সালমা চৌধুরী রুমাকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়।
সালমা চৌধুরী রুমার পিতা মরহুম এডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি রাজবাড়ীতে দলকে সংগঠিত করতে ভূমিকা রাখেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন এবং রাজবাড়ী-১ আসন থেকে একাধিকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মেয়ে সালমা চৌধুরী রুমা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।
একাদশ জাতীয় সংসদে প্রাপ্ত আসন সংখ্যা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সংরক্ষিত মহিলা আসন পেয়েছে ৪৯টি। এর মধ্যে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছে ৪৩টি আসন। মাত্র ১টি আসন পেয়েছে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।