॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম গতকাল ২০শে জুলাই বিকালে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের নয়নসুখ গ্রাম ও আকিরুননেসা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তালিকাভুক্ত ২০৬টি পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
শুকনা খাবারের প্রতিটি কার্টুনে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি চিড়া, ১লিটার সয়াবিন তেল ও ৫শ’ গ্রাম নুডুলস রয়েছে। বরাট ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ শেষে তিনি অন্তারমোড় হতে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা, দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বন্যা উপদ্রুত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু, ভারপ্রাপ্ত জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার মোঃ হাবিবুল্লাহ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণসহ ট্যাগ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতি বৃষ্টি ও পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে রাজবাড়ী সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার এবং পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত পরিবারগুলোর তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। তথ্য সংগ্রহ ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন এবং ত্রাণ তৎপরতাসহ সার্বিক অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছেন।