Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের সম্প্রসারণ কাজে কচ্ছপগতি

॥হেলাল মাহমুদ॥ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতা ও গাফিলতির জন্য রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ কচ্ছপ গতিতে চলছে। এর ফলে মহাসড়কটির কয়েকটি স্থানের উপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে মহাসড়কের রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড় থেকে চরবাগমারার নির্মাণাধীন পাওয়ার গ্রীড স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৪কিলোমিটার অংশ ঘুরে দেখে ও বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুষ্ক সময়ে ধুলাবালু আর বৃষ্টির সময়ে কাদার জন্য চলাচলকারীদের ও মহাসড়কের পাশের বাসিন্দাদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। রাস্তার বড় একটা অংশই ভাঙ্গা-চোরা ও খানা-খন্দে ভরা। সেখান দিয়ে যানবাহন, বিশেষ করে যাত্রীবাহী বাসগুলো চলার সময় তীব্র ঝাঁকুনীতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে বমি করে ফেলে। বয়ষ্ক যাত্রীদের ভোগান্তি হয় সবচেয়ে বেশী।
টিপু শেখ নামের একজন ট্রাক চালক বলেন, ‘মহাসড়কের এই অংশে খানা-খন্দ থাকায় প্রতিনিয়ত গাড়ীর যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। পাতিগুলো ভেঙ্গে পড়ছে। এর পাশাপাশি শারীরিক কষ্টও সহ্য করতে হচ্ছে।’
অটোরিক্সা চালক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘বড় বড় গর্তে পড়ে অনেক সময় ছোট গাড়ীগুলো যাত্রীসহ উল্টে যায়। পাশ দিয়ে বড় গাড়ীগুলো যাওয়ার সময় কাদা-পানি ছিটিয়ে কাপড়-চোপড় নষ্ট করে দিয়ে যায়।’
চর বাগমারার বাসিন্দা দেবনাথ হালদার বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের শহরের স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়। ভাঙ্গা-চোরা রাস্তা দিয়ে চলাচলে অসুবিধা হয়। ধুলা ও কাদা পানিতে স্বাস্থ্যগত সমস্যাও হয়।’
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী(চঃ দাঃ) কে.বি.এম সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সময়মতোই তাদের বিল নিয়ে যায়। কিন্তু জোর তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও ঠিকমতো কাজ না করে গাফিলতি করে। এ জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত) তারা কোনভাবেই কাজ শেষ করতে পারবে না।’
তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (প্রজেক্ট ম্যানেজার) জাহাঙ্গীর আলম দাবী করেন, ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা কাজ শেষ করতে পারবেন বলে আশা করছেন। এছাড়াও তিনি কাজের সময় যান চলাচল বন্ধ রাখতে না পারাসহ কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করেন।