Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দে ২য় দফায় কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন

॥এম.এইচ আক্কাছ॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে ২য় দফায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধনের পরপরই সরকারী খাদ্য গুদাম থেকে নসিমন ভর্তি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ধান জব্দ করা হয়েছে।
গত ১১ই জুলাই বিকালে গোয়ালন্দ উপজেলা সরকারী খাদ্য গুদামে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসক বিদায় নেয়ার কিছুক্ষণ পরই এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিকাল পৌনে ৫টার দিকে জেলা প্রশাসক ধান ক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে উপজেলার কিছু কৃষকের কাছ থেকে ৫০০ কেজি করে ধান ক্রয় করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক চলে যাওয়ার পরপরই একটি নসিমন ভর্তি ধান আনা হয়, যা কোন স্থানীয় কৃষকের নয়। কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে ধানের উৎস সম্পর্কে নসিমনটির চালকের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর এলাকার মোস্তাক ও কানাই নামের দুই ব্যক্তি এই ধান বিক্রির জন্য পাঠিয়েছেন। তখন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু সহকারী কমিশনার(ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ধানগুলো জব্দ করতে বলেন। এ সময় স্থানীয় কৃষক ছাড়া অন্য কেউ ধান বিক্রির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবাইকে হুশিয়ার করে দেন।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, এই ৪০ বস্তা ধানভর্তি নসিমন কীভাবে গুদামের ভিতরে ঢুকলো তা তিনি জানেন না। কৃষক ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে না। কারা এই ধান এনেছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
জানা গেছে, এ বছর সরকারী বরাদ্দ অনুযায়ী উপজেলার গোয়ালন্দের সরকারী খাদ্য গুদামে প্রথম ধাপে ৮০ টন ধান ক্রয় করা হয়। এরপর সরকার আরো ১৩৫ টন ধান ক্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত ১০৪০ টাকা মণ বা ২৬ টাকা কেজি দরে প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩টন পর্যন্ত ধান ক্রয় করার কথা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রতি কৃষকের কাছ থেকে মাত্র ৫০০ কেজি ধান ক্রয় করা হচ্ছে। অল্প কিছু ধান স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখানোর পর বেশীর ভাগ ধান ক্রয় করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার থেকে কম দামে ধান কিনে খাতা-কলমে বেশী দাম দেখিয়ে গুদামে মজুদ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এতে একদিকে কৃষকরা ঠকছে, অপরদিকে সরকারী অর্থ তছরূপ হচ্ছে।