Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বহরপুরে ‘আমার বাড়ী আমার খামার’ প্রকল্পের সদস্যদের সাথে জেলা প্রশাসকের উঠান বৈঠক

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম গতকাল ১০ই জুলাই দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের চন্দনা গ্রামে ‘আমার বাড়ী আমার খামার’ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন ও উপকারভোগী সদস্যদের সাথে উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসক প্রকল্পের উপকারভোগী সদস্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সঞ্চয় বৃদ্ধিসহ সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান, সহকারী কমিশনার(ভূমি) শাহ্ মোঃ সজিব, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বালিয়াকান্দি শাখার ব্যবস্থাপক বিধান কুমার দাস এবং পরিদর্শক মিনি রানী বিশ্বাসসহ আমার বাড়ী আমার খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উঠান বৈঠকে চন্দনা গ্রাম উন্নয়ন সমিতির ম্যানেজার লাকি বেগম জানান, তাদের সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৪০ জন-এর মধ্যে ৩২জন মহিলা এবং ৮জন পুরুষ। সমিতির সভাপতি মিলি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে তারা নিয়মিত সভা করেন। উপকারভোগী সদস্যদের সঞ্চয়ের পরিমাণ ৮৬ হাজার টাকা এবং তারা উৎসাহ বোনাস পেয়েছেন ৮৬ হাজার টাকা। এ সমিতির সদস্যগণ প্রশিক্ষণোত্তর ঋণ পেয়েছেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। বর্তমানে মোট তহবিলের পরিমাণ ২লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। সমিতির সদস্যদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ঋণ আদায় হয়েছে ২৫ হাজার ৯২০ টাকা। সমিতি থেকে ঋণ গ্রহণ করে ১৮জন ইতিমধ্যে বিভিন্ন আত্মকর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। দারিদ্র বিমোচনে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পসমূহের মধ্যে অন্যতম আমার বাড়ী আমার খামার প্রকল্পের মাধ্যমে তারা আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পাওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে আমার বাড়ী আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয় প্রকল্পের আওতায় ১৮৮টি সমিতির সদস্য সংখ্যা ৮ হাজার ৯৪৫ জন। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬২৫ জন আত্মকর্মসংস্থানমূলক বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। উপকারভোগী সদস্যদের সঞ্চয়ের পরিমাণ ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা। প্রশিক্ষণোত্তর ঋণ সহায়তা তহবিলের পরিমাণ ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭২ লক্ষ টাকা। সমিতিতে কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়েছে ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা।