Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে পদযাত্রী রফিকুল রাজবাড়ীতে

॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ হাতে জাতীয় পতাকা আর গায়ে লাল সবুজের কাপড় জড়িয়ে হাজার বছরের বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের আলো তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে রংপুর থেকে যাত্রা শুরু করা পদযাত্রী রিক্সাচালক রফিকুল গতকাল ৮ই জুলাই সকালে রাজবাড়ীতে আসেন। রাজবাড়ীতে অবস্থান করে তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নীচতলায় বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন করেন।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী গতকাল সোমবার তিনি পায়ে হেঁটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। টুঙ্গীপাড়া যাওয়ার আগে তিনি ফরিদপুর সার্কিট হাউজে অবস্থান করবেন এবং আজ মঙ্গলবার (৯ই জুলাই) তিনি ফরিদপুরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন করবেন। সেই সাথে কৃষ্ণচূড়ার গাছও লাগাবেন।
রিক্সা চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। আমি মুক্তিযুদ্ধের বর্বরতা স্বচক্ষে দেখেছি। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও আজও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক চলছে। তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে একটি গোষ্ঠী। তাই আমি আগামী প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর মুক্তিযুদ্ধের আলো ছড়াতে পায়ে হেঁটে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করবো। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন করবো।
রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, পদযাত্রার শুরুর থেকেই বিভিন্ন মিডিয়া আমাকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন। আমি যে কয়টি জেলায় গিয়েছি তারা আমাকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছে এবং আমার সংবাদ গুরুত্বের সাথে ছাপিয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাঈদুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়াতে এবং তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত করতে একজন রিক্সা চালক এতদূর পায়ে হাঁটার যে কর্মসূচী গ্রহণ করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। তার এই উদ্দেশ্যে সফল হোক।
উল্লেখ্য, রফিকুল ইসলাম পায়ে হেঁটে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করার জন্য গত ১৩ই জুন রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। আগামী ১৯শে জুলাই তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করার পর ৪ঠা আগস্ট গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন। রফিকুল ইসলাম রংপুর সদরের বাবুপাড়া তাজহাটের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।