Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ফরিদপুরে জোড়া খুনের মামলায় ১৩জনের যাবজ্জীবন রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামী আফছারের পলায়ন

॥মাহবুব হোসেন পিয়াল॥ ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ১টি জোড়া খুনের মামলায় ১৩জন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। গতকাল ১৯শে জুন দুপুরে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোঃ মতিয়ার রহমান এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১জন আসামী আদালতে হাজির ছিলেন। অপর ২জন আসামী পলাতক রয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের আদালতের কাঠগড়া থেকে হাজতখানায় নেয়ার সময় কোর্ট পুলিশের হেফাজত থেকে আফছার ফকির নামের এক আসামী পালিয়ে গেছে।
ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতের পিপি এডঃ গোলাম রব্বানী বাবু মৃধা জানান, ২০০৩ সালের ২৩শে ডিসেম্বর সকালে সালথা উপজেলার নটখোলা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের সালিশী বৈঠকে গঞ্জর খাঁ ও মোসা মোল্লা নামের ২জন ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সালথা থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। পুলিশ ২৭জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। বিচার কার্যক্রম চলাকালে ২জন আসামীর মৃত্যু হওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ বাদ দেয়া হয়। অবশিষ্ট ২৫জন আসামীর মধ্যে ১৩জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান ও ১২জনকে খালাস দেয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলো ঃ মান্নান খাঁ, সুরমান খাঁ, মাজেদ খাঁ, ওয়াজেদ খাঁ, রাশেদ খাঁ, সিদ্দিক ফকির, সোহরাব ফকির, আফছার ফকির, ফজলু ফকির, রহমান খাঁ, রেজাউল খাঁ, জিগির খাঁ এবং ওসমান ফকির। তাদের মধ্যে সোহরাব ফকির এবং জিগির খাঁ পলাতক রয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলো- টিটুল খাঁ, ইকরাম খাঁ, হাসেম মোল্লা, আক্কাস ছয়ারি, মিজানুর ফকির, শাহজাহান শেখ, ইদ্রিস খাঁ, হারেজ ফকির, মজনু ফকির, ফারুক মিয়া, মুরাদ মিয়া ও সালাউদ্দিন খাঁ।
পুলিশের হেফাজত থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এফ.এম নাসিম জানান, মামলার রায় ঘোষণার পর আসামীদের আদালতের কাঠগড়া থেকে হাজতখানায় নেয়ার সময় আফছার ফকির নামের এক আসামী কোর্ট পুলিশের হেফাজত থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।