Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী পালিত

যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে গত ১৩ই জুন রাতে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
প্রবাসী বাংলাদেশী, সামরিক প্রশিক্ষণার্থী এবং মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান।
স্বাগত বক্তব্যে তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলার নবজাগরণ বা বঙ্গীয় রেঁনেসা সময়ের উজ্জ্বলতম প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তাদের সৃষ্টিতে আমরা লক্ষ্য করি মানবিকতার সার্বজনীতার বাণী আর সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান। পূর্ব বাংলার সাধারণ মানুষের জীবনই হয়ে উঠেছিল এই দুই বরেণ্য কবির সাহিত্য কর্মের প্রধান উপজীব্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ প্রেম আর নজরুলের বিদ্রোহী চেতনা বাঙালীদের মুক্তিযুদ্ধে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল কখনোই পুরাতন বা সেকেলে হবেন না, তাদের সাহিত্য বা সৃষ্টির আবেদনগুলো যুগে যুগে আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে এবং উঠবে। বর্তমান জগতের বৈষিকীঁয়তা, বৈষম্য, বর্ণবাদ, ধর্মান্ধতা দূর করে একটি আলোকিত মানবিক সামাজ গড়তে এই দুই কবির রেখে যাওয়া শিক্ষা আমাদের জন্য দিশারী হিসেবে কাজ করবে।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুলের লেখা কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। প্রবাসী বাঙ্গালী, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশী শিশুরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের দেশীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।