Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

৪০লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুদক পরিচালক এনামুল বাছির সাময়িক বরখাস্ত

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ অবৈধভাবে কমিশনের তথ্য পাচার এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
গতকাল ১০ই জুন বিকেলে দুদকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৯ই জুন একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,‘কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি অনুসন্ধান হতে তাকে দায়মুক্তি দিতে তার কাছে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণে সমঝোতা করেন। তিনি ৪০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা ঢাকার রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে গ্রহণ করেন এবং অবশিষ্ট ১৫ লাখ টাকা পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ছেলেকে স্কুলে আনা-নেয়ার জন্য তিনি গ্যাস চালিত একটি গাড়ি দাবি করেন। এছাড়া তিনি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবৈধভাবে পাচার করেন।’
টেলিভিশনে প্রচারিত ওই প্রতিবেদনটি কমিশন আমলে নিয়ে গত ৯ই জুন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিশন এই কমিটিকে সোমবার বেলা ৩টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক এই কমিটি গতকাল সোমবার কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে কমিশন দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার ও চাকুরীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ সর্বোপরি অসদাচরনের অভিযোগে পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে চাকুরী হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, গত বছর এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক(ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে।
এরপর বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুদক। এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে তদন্ত চলাকালেই প্রাপ্ত তথ্য অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে ফাঁস করে দুই দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন তিনি।