Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ক্রেতাদের ভীড়ে জমজমাট বালিয়াকান্দির ঈদ বাজার

॥তনু সিকদার সবুজ॥ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকী রয়েছে। এ অবস্থায় সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতেও ক্রেতাদের ভীড়ে ঈদ বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে।
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের পদচারণাও ততই বাড়ছে। কাপড়ের দোকানগুলোতে স্যালোয়ার, কামিজ, গেঞ্জি, প্যান্ট, শার্ট, শাড়ী, লুঙ্গি, কামিজ, পাঞ্জাবী, ফতুয়া প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করছে। ঈদে চাই নতুন পোশাক। তাইতো সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে কেনাকাটার জন্য ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষই মার্কেটমুখী হচ্ছে।
বালিয়াকান্দি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। নি¤œবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের প্রধান গন্তব্য ফুটপাতের দোকান। সেগুলোর দোকানীরাও নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
দোকানীরা জানান, অধিক বিক্রির আশায় এবার তারা অপেক্ষাকৃত বেশী ও দামী পোশাক এনেছেন খরিদ্দারদের জন্য। পোশাকের দামও এ বছর তেমন বাড়েনি। ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই আছে। তাই বেচা-কেনাও বেশী হবে বলে তারা আশা করছেন।
তবে ক্রেতাদের বক্তব্য অবশ্য ভিন্ন। জঙ্গল ইউনিয়ন থেকে বালিয়াকান্দি বাজারে পোশাক কিনতে আসা স্বাধীন মোল্লা বলেন, কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় এবার বেশী। ক্রেতাদের চাহিদা দেখে বিক্রেতারা আকাশছোঁয়া দাম হাঁকাচ্ছেন। তারপরও দাম যেমনই হোক নতুন কাপড়তো কিনতেই হবে। তাই অল্প টাকার পোশাকেই ঈদের আনন্দ মেটানোর চেষ্টায় আছি।
বালিয়াকান্দি বাজারের বাজারের চম্পা সুপার মার্কেট, হাজী মোসলেম উদ্দিন সুপার মার্কেট, কাপড়পট্টি ও হকার্স মার্কেটগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। দোকানীরা নিজ নিজ দোকানে পসরা সাজিয়ে বসে আছে। দোকানগুলোতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কেনাবেচা চলছে। তাই দোকানগুলোতে তিল ধারণেরও ঠাঁই নেই। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দোকানীরাও তাদের ইচ্ছামত জিনিসপত্রের দাম হাঁকাচ্ছেন।
একইভাবে জুতার দোকানগুলোতেও উপচেপড়া ভীড় দেখা গেছে। নতুন জামার সাথে ম্যাচিং করে জুতা কিনতে সব বয়সের ক্রেতারাই ভীড় জমাচ্ছেন। এক জুতার দোকানী বলেন, ঈদের আর কয়েক দিন বাকী এর মধ্যই ভালোই জুতা বিক্রি হয়েছে। আশা করি, আমাদের বিক্রি আরো বেড়ে যাবে।
অপরদিকে টেইলার্সের দোকানগুলোতেও ভীড় চোখে পড়ার মত। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাপড় তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জিরা। এর বাইরে কসমেটিকস ও স্টেশনারী দোকানগুলোতেও কমতি নেই ক্রেতাদের।
]]