Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ঈদের পোশাক তৈরী করে দিল প্রথম আলো বন্ধুসভা

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ‘ভালোর সাথে আলোর পথে, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঈদের আগে রঙ্গিন জামা বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দের প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মঙ্গলপুর শামসুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সকল পোশাক তৈরী করে দিয়েছে। নিজেদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে ২৫জন শিক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষকসহ ২৮জনের পাঞ্জাবি ও পায়জামা তৈরী করে দেওয়া হয়।
গত ৩১শে মে বিকেলে মাদ্রাসার অসহায় ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে এ ধরনের পোশাক বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বন্ধুসভার উপদেষ্টা সিদ্দিক মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বন্ধুসভার সম্মানিত সদস্য মোঃ সেলিম মুন্সী, প্রথম আলো প্রতিনিধি রাশেদুল হক রায়হান, বন্ধুসভার সভাপতি মুহাম্মদ বাবর আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান মিলন, নেদারল্যান্ড প্রবাসী বন্ধু কামাল হোসেন ও মাদ্রাসার সুপার হাফেজ নুরুল আমিন। পরে প্রথম আলো ও বন্ধুসভার জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
শেষে সকলের মাঝে পোশাক বিতরণ শেষে ঈদের আগে মাদ্রাসার সকলে সাদা ভালো মানের কাপড়ের পাঞ্জাবি ও পায়জামা পাওয়ায় সবার মুখে হাসি ফুটে উঠে।
এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, আমাদের মধ্যে অনেকের পরিবার থেকে নতুন পোশাক করে দেয়ার মতো তেমন সামর্থ নেই। নতুন পোশাক পাওয়ায় আমাদের ঈদ অনেক আনন্দের হবে।
মাদ্রাসার অনাথ শিশু নুর আলম বলে, বাবা মারা গেছে এক বছর আগে। অসুস্থ্য অবস্থায় এক প্রকার চিকিৎসার অভাবে মারা যান। পরিবারের মা ও তিন ভাই বোন মিলে সংসার। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। বড় ভাই অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। যেখানে নিজেদের সংসারের খরচ জোটে না সেখানে ঈদের আগে নিজেদের পোশাক হয় ক্যামনে। ঈদের আগে একসেট পোশাক পেয়ে কি যে খুশি লাগছে তা বলতে পারবো না।
মাদ্রাসার সুপার হাফেজ নুরুল আমিন বলেন, স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়। কোন কোন মাসে মাদ্রাসার খরচই জোগাড় করা সম্ভব হয়না। এমন অবস্থায় হঠাৎ করে প্রথম আলো পত্রিকার পাঠক সংগঠন বন্ধুসভার সদস্যরা এভাবে এগিয়ে আসবে ভাবতেই পারিনি। আল্লাহ প্রথম আলোকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাক। সেই সঙ্গে যাদের অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থীরা সকলে নতুন পোশাক পেল তাদেরকে আল্লাহ ভালো রাখুন।
বন্ধুসভার সম্মানিত সদস্য, তরুণ শিল্পপতি মোঃ সেলিম মুন্সী বলেন, মাদ্রাসার এমন অসহায়ত্ব দেখে খুব খারাপ লাগলো। প্রথম আলো বন্ধুসভার এমন ভালো কাজের সাথে থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তাই এখন থেকে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মাদ্রাসাটির জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দিব ইনশাআল্লাহ।