॥চঞ্চল সরদার॥ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে গতকাল ১৩ই মে সকাল ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে ইমামদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বক্তব্য রাখেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ তোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান পিয়াল, অন্যান্যর মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ আবু সাঈদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার ফিরোজ আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, আপনারা(ইমাম) সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে আলোচনা করবেন। এ সবের কুফল সম্পর্কে জনগণকে বোঝাবেন। আপনারা মসজিদে এসব কথা বললে মুসল্লীরা সেটা শুনবে। জঙ্গীবাদ সম্পর্কে আপনারা যদি তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মাঝে ঘৃণা সৃষ্টি করতে না পারেন তাহলে তাদের অপতৎপরতা কিছুতেই রোধ করা যাবে না। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে আসবে, আমাদের মতোই থাকবে, আমাদের আশেপাশে বাড়ী ভাড়া নিবে এবং একসময় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলে যাবে। সেটার দায়ভার কিন্তু আমাদের-আপনাদেরই বহন করতে হবে। তাই এ ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সবাই কথা বলবো। এগুলো আমাদের দেশের জন্য বড় সমস্যা। সরকার এসবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সমাজ থেকে এই ব্যাধি দূর করতে সর্বস্তরের মানুষকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসেম্বলীর সময় সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে। মসজিদের ইমামদের আরও বেশী ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতি শুক্রবারে জুম্মার খুতবার পূর্বে কোরআন-হাদিসের আলোকে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে, যাতে মানুষ ভুল পথে না যায়।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু কিছু ধর্মান্ধ মানুষের কারণে মসজিদও এখন নিরাপদ নয়। তারা মসজিদে নামাজরত মুসল্লীদের বোমা মেরে হত্যা করে বলে কাফের মারলাম। ইসলাম কায়েমের কথা বলে আত্মঘাতী হয়ে নিজের জানটা দিয়ে দিচ্ছে। আপনারা যুবকদের মা-বাবাকে ভালোবাসতে বলবেন, তাদেরকে কোরআন-হাদিস সম্পর্কে শোনাবেন, দেশকে-দেশের মানুষকে, প্রকৃতিকে-সকল প্রাণীকে ভালোবাসতে বলবেন। ভালো পথে চলার জন্য বলবেন। তাহলে তারা ভালো দিকে আসতে থাকবে। আপনারাই পারেন সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদসহ সকল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে।
আলোচনার শেষে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের নির্বাচিত ১৫জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং ৩জন শ্রেষ্ঠ কেয়ারটেকারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
রাজবাড়ীতে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে ইমামদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
