॥স্টাফ রিপোর্টার॥ তথ্য মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপিই রাজনীতিতে বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়নের সূত্রপাত করেছে। সেনা ছাউনীর ভেতর থেকে জিয়াউর রহমান অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে বিএনপির জন্ম দেন। তারা সেই ধারাই বজায় রেখে রাজনীতিকে কলুষিত করেছে।’
গতকাল ৯ই মে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় আব্দুস সালাম হলে প্রয়াত বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম.এ ওয়াজেদ মিয়ার ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় সম-সাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী প্রয়াত ড. এম.এ ওয়াজেদ মিয়াকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, ‘তিনি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ছিলেন, বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেছেন, এর কোনো কিছুতেই তার কোনো অহংবোধ প্রকাশ পায়নি। প্রজ্ঞাবান ও বিনয়ী এই মানুষটির জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে, যা নিয়ে আমরা নিজেদের উন্নত ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’
সমকালীন রাজনীতি প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একজন স্বীকৃত দুর্বৃত্ত, যার নেতৃত্বে ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছে, যার নেতৃত্বে হাওয়া ভবন চলতো, এমন কাউকে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিলে কি হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানের সেই দুর্নীতি-দুর্বৃত্তির বিভিন্ন তথ্যই তুলে ধরেন। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সেই বক্তব্যকে ‘গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ’ বলেছেন। অথচ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি।’
‘বিএনপি সবসময় গণতন্ত্রকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেনা ছাউনির ভেতর থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে অগণতান্ত্রিকভাবে বিএনপির জন্ম হয়েছে এবং এরপর রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত ও মুনাফালোভীদের সমাবেশ ঘটিয়ে দল গঠন করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশের ২০১৪ সালের নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। এবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল মূলত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। ২০১৩-১৪-১৫ সালে হাজার হাজার মানুষকে পেট্রোল বোমায় ঝলসে দিয়েছে, শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এরাই গণতন্ত্রের বড় শত্রু এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে তাদের কোন কথা বলার অধিকার নেই।’ এসব কারণেই বিএনপি আজ জনবিচ্ছিন্ন, ২০ দলীয় জোটে আজ ভাঙ্গনের সুর, ঐক্যফ্রন্টে ঐক্য নাই- বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রখ্যাত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে সভায় সাবেক খাদ্য মন্ত্রী এডঃ কামরুল ইসলাম, এমপি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডঃ শামসুল হক টুকু, এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বিশিষ্ট অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ ড. এনামুল হক, কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা এডঃ বলরাম পোদ্দার, আক্তার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, অরুণা বিশ্বাস, দিনাত জাহান মুন্নী, কামাল চৌধুরী, শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ ড. এম.এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণে বক্তব্য রাখেন।