॥চঞ্চল সরদার॥ আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের আয়োজনে গতকাল ৮ই মে সকালে পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম, পিপিএম-সেবা’র সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ রাকিব খান, রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ কামরুল ইসলাম গোলদার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী(চঃ দাঃ) কে.বি.এম সাদ্দাম হোসেন, রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ শওকত আলী মোক্তার, বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক(ট্রাফিক) মোঃ আরিফুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুরাদ হাসান, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের ডিএডি মোসলেম, মাহেন্দ্র মালিক গ্রুপের সভাপতি মোঃ আকবর কবির, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফী, পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ লাবু মিয়া, মাগুরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ইছাক হোসেন মল্লিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফোরকানুল হামিদ, ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শান্ত কুমার দে, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক ও সাংবাদিক রবিউল ইসলাম খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(হেডকোয়ার্টার) মোঃ ফজলুল করিম।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম, সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ লাবীব আব্দুল্লাহ, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক দিদারুল হক হিরু, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাগণ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম, পিপিএম-সেবা বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন পারাপার নির্বিঘেœ করতে আমাদের পক্ষ থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হবে। ঈদের আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে চোর-ডাকাতরা কারো মোবাইল বা অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করতে না পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাইওয়েতে মাহেন্দ্র গাড়ী চালাতে দেয়া হবে না। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভাড়ার তালিকা আগেই আমাদের কাছে দিয়ে রাখতে হবে। গাড়ীর চালকদের লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। মহাসড়কের পাশের দোকানপাট ও ফেলে রাখা কাঠের গুড়ি অপসারণ করতে হবে। লঞ্চ ঘাটে পায়ে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা ভালো করতে হবে। ফেরীতে যাতে জুয়ার আসর না বসতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশ পদক্ষেপ নেবে। রাস্তার উপর কাউকে কাউন্টার বসাতে দেয়া হবে না।
ঈদুল ফিতরের সময় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরী চলাচলের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ১৫টি ফেরী দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদের সময় আরও ৫টি ফেরী বহরে যুক্ত হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে মানুষ নির্বিঘেœ ঘরে ফিরতে পারবে, কোন সমস্যায় পড়তে হবে না।
ঈদুল ফিতরে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্নে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হবে—পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি,বিপিএম,পিপিএম-সেবা
