Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

দুর্ঘটনার আশংকা মধুখালীর কামারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান

॥শাহ্ ফারুক হোসেন॥ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে পুরনো ঝুকিপূর্ণ একটি দোতলা ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশংকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণসহ সকলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে গিয়ে দেখা যায়, ৫৭বছরের পুরনো ভবনটির নিচতলার ৭টি কক্ষের মধ্যে ৪টি কক্ষে পাঠদান ও ৩টি কক্ষে প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং দোতলার ৪টি কক্ষের মধ্যে ২টি কক্ষে পাঠদান ও অপর দু’টি কক্ষ মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও বিজ্ঞানাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির অধিকাংশই স্থানেই ধসে এবং ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতেই শিক্ষকরা পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষক নজীর আহম্মেদের শরীরের উপর ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়লে তিনি আহত হন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ বশীর আহম্মেদ বলেন, আমাদের ভবন স্বল্পতার কারণে জীবনের ঝুঁকি জেনেও আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছি। এ অবস্থাতেই বিদ্যালয়টি জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র এবং পিইসি ও এইসএসসি পরীক্ষার ভেন্যু হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ভবন ও সম্প্রতি নির্মিত ভোকেশনাল ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা ছাড়া শিক্ষার্থীদের সঠিক পরিবেশে ক্লাস নেয়া সম্ভব নয়।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চৌধুরী রাকিব হোসেন ইরান বলেন, ১৯৪২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৬২ সালে এই পুরাতন ভবনটি নির্মিত হয়। বিভিন্ন সময় ভবনটি সংস্কার করে আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফরিদপুর জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ হাসান শওকত বলেন, কিছুদিন আগে বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে গিয়ে ঐ পুরাতন ভবনে পাঠদান না করানোর জন্য বলেছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা মনোয়ার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে ক্লাস না নেওয়ার জন্য আমি প্রধান শিক্ষককে অচিরেই চিঠি দিব।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য মধুখালীর ইউএনও’কে বলবো।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৭৯২জন শিক্ষার্থী, ১৫জন শিক্ষক ও ৬জন কর্মচারী রয়েছে।