Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

জামাত-শিবির বিএনপির সাথে মিলে মিশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে————- রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী

॥শিহাবুর রহমান॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকল শহীদ স্মরণে গতকাল ১৫ই ডিসেম্বর বিকেলে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের মঞ্চে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।
সভায় পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস.এম নওয়াব আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সফি, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মীর মাহফুজা খাতুন মলি, বসন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক জি.এম মান্নান, আওয়ামী লীগ নেতা এডঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন শিকদার ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এডঃ মোঃ শফিকুল হোসেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্যের শুরুতে এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বিজয় দিবস উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ নির্যাতিত মা বোনকে ও যাঁদের অসামান্য আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান।
এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, জামাত-শিবির বিএনপির সাথে মিলেমিশে এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আজ বিজয় দিবসেও মাইকে প্রচার করছে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া। ওরা আর কত মিথ্যাচার করবে। ওরা মিথ্যাচার করে দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু এদেশের মানুষ এখন বুঝে গেছে। তাই আর মিথ্যাচার করেন না।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশে উন্নয়ন হয়। বর্তমানে ১৫হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। নতুন করে ৯০লক্ষ লোক বিদ্যুৎ পেয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ জ্বলবে। আর রাজবাড়ীতে ২০১৮ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ জ্বলবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তিত হবে। সজিব ওয়াজেদ জয়ের মাধ্যমে আমাদের নেত্রী যে ডিজিটালের ঘোষণা দিয়েছিলেন আমি মনে করি ৯৫% ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিলে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কমনা করা হয়।