Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

প্রচন্ড শীতেও শরীর যেভাবে গরম রাখবেন

দুই স্তর এর কাপড় পরিধান করুন : মোটা একটি জ্যাকেট বা চাদর পরার চেয়ে পাতলা সোয়েটার পরলে শীত কম লাগবে। দুটি স্তর সরাসরি আপনার শরীর থেকে বাইরে তাপ পরিচলনে ও পরিবহন বাধা দেবে। এই দুটি স্তরের মাঝে আটকে থাকা বাতাস ইনসুলেটরের কাজ করে তাপ ধরে রাখবে আপনার শরীরে।

কাঁপুনি থামান : কাঁপুনি শুরু হওয়া মানেই হলো আশেপাশে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা যা আপনার শরীর মোটেই সহ্য করতে পারছে না। আপনার উচিত হবে দ্রুত কোনো গরম জায়গায় চলে যাওয়া। ঠাণ্ডায় আমাদের শরীরে কাঁপুনি দেখা দেয় কারণ এর মাধ্যমে শরীর নিজেকে গরম করার চেষ্টা করে। পেশিগুলো কাঁপুনির মাধ্যমে ক্যালোরি ক্ষয় করে এবং তাপ উৎপাদন করে। কাঁপুনি থেমে যাবার জন্য অপেক্ষা করবেন না মোটেই। কারণ হাইপোথার্মিয়ার মধ্যবর্তী পর্যায়ে মানুষের শরীর কাঁপুনি থামিয়ে দেয়। এরপরে কাঁপুনিতেও শরীর নিজেকে রক্ষা করতে পারে না।

ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করুন : শরীর যেন নিজেকে গরম রাখতে পারে তার জন্য একে জ্বালানী সরবরাহ করুন অর্থাৎ খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হন। এতে আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক থাকবে আর শরীর থাকবে গরম। এছাড়াও প্রয়োজনমতো পানি পানেও মনোযোগী থাকুন।

অভ্যাস করে ফেলুন : বাসার বাইরে শীতের মাঝে অনেকটা সময় কাটাতে হয় ? ঠাণ্ডার প্রতি অভ্যস্ত হয়ে যান। শরীরকে ঠাণ্ডা সহ্য করতে শেখান। শরীর ফিট রাখাটা এ জন্য জরুরি। কিন্তু বেশী শুকনো গড়ন হলে আবার সমস্যা। কারণ শরীরে যথেষ্ট ফ্যাট না থাকলে শীতের মোকাবেলা করা যায় না।

ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক থাকুন : উচ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কিছু ওষুধ আছে যেগুলো আপনাকে শীতের প্রতি বেশী সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। এছাড়া বয়স্ক মানুষেরা শীতে বেশী কাবু হয়ে যান। ২ বছর বয়সের কম বয়সী বাচ্চারাও শীতের প্রতি বেশী সংবেদনশীল। যখন বেশী শীত পরে তখন তাদের বেশী সতর্ক থাকা উচিত।