॥বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার পদমদী গ্রামের গণধর্ষিতা গৃহবধূর বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ-খবর নিলেন পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি, বিপিএম, পিপিএম-সেবা।
গতকাল ২রা মার্চ সকালে তিনি ধর্ষিতা গৃহবধূর বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ-খবর নেয়াসহ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। এ সময় পুলিশ সুপারের সঙ্গে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম, বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা, পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভিকটিম গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী গত ৩রা জানুয়ারী সন্ধ্যায় ঠেঙ্গাবাড়ীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়–য়া ছেলেকে খাবার দিয়ে বাড়ীতে ফেরার পথে কুরশী সোনাইডাঙ্গা গ্রামের মোজাই’র কলাবাগানের কাছে পৌঁছালে ঠেঙ্গাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে শামীম (২৫), কুরশী সোনাইডাঙ্গী গ্রামের মমিন মন্ডলের ছেলে মর্তুজা (২০), আয়ুব আলীর ছেলে মনির (২৫), খালেক শেখের ছেলে সোহেল (২৬) ও মাজেদের ছেলে সাব্বির (২০) তাকে ঘিরে ধরে। এ সময় সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তারা তাকে ল্যাং মেরে ফেলে দিয়ে চাদর দিয়ে মুখ বেঁধে জোড়পূর্বক তাকে ওই কলাবাগানের মধ্যে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে। পালাক্রমে ধর্ষণের পর তারা হুমকি দিয়ে বলে, এ ঘটনা কাউকে বললে তোর মেয়েকেও ধর্ষণ করা হবে এবং তোর ছেলেকে মেরে ফেলা হবে। পরবর্তীতে তারা ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। মান-সম্মানের ভয়ে তিনি তাদেরকে দাবীকৃত টাকা দিতে বাধ্য হন। এরপরও ভয়-ভীতি দেখিয়ে আরো টাকা দাবী ও অনৈতিক প্রস্তাব দিতে থাকলে নিরুপায় হয়ে ওই গিৃহবধূ বাদী হয়ে গত ২৭শে ফেব্রুয়ারী রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে উল্লেখিত ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল ২রা মার্চ দৈনিক মাতৃকণ্ঠের ১ম পাতায় ‘রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা ॥ বালিয়াকান্দিতে গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে টাকা আদায়ের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।