॥বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার অনেক কৃষক কুসুম ফুলের চাষ করেছেন।
কুসুম ফুল আমাদের দেশী প্রজাতির একটি ফুল, যা দেখতে সুন্দর। এই ফুল থেকে সুঘ্রাণও বের হয়। বাংলা সাহিত্যের অনেক কবি-লেখক তাদের লেখনীতে বিভিন্নভাবে এই কুসুম ফুলের সৌন্দর্য্য উপস্থাপন করেছেন। শুধু সৌর্ন্দয্য আর ঘ্রাণের জন্যই কেবল এই কুসুম ফুলের চাষ করা হয় না। কুসুম ফুলের থেকে যে ফল বা বীজ হয় তা থেকে ভোজ্যতেল পাওয়া যায়। ফলের দানা দিয়ে পায়েস বা মিষ্টান্ন রান্না করলে খুব সুস্বাদু হয়।
বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের কোমরদিয়া গ্রামের কৃষক সুইট বিশ্বাস বলেন, আগে এই এলাকার কৃষকরা কম-বেশী এই ফুলের চাষ করতো। তবে এখন আর তেমন দেখা যায় না। আমি এ বছর আমার ৮৮ শতাংশ জমির পেঁয়াজ ক্ষেতের চারপাশ দিয়ে কুসুম ফুলের চাষ করেছিলাম। পেঁয়াজের পাশাপাশি কুসুম ফুলের গাছগুলো বেশ তরতাজা হয়ে এখন ফুল ধরা শুরু হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই ফুল থেকে ফল ধরা শুরু হবে। ফল পাকলে গাছগুলো কেটে বাড়ীতে এনে গাছ থেকে ফল আলাদা করে রোদে শুকিয়ে কাঠের তৈরী মুগুর দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে ফল থেকে দানা আলাদা করা হয়। এই দানা সংগ্রহ করে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে ঘরে তোলা হয়। আশা করছি পেঁয়াজের পাশাপাশি কুসুম ফুলেরও ভালো ফলন পাবো। আমার মতো আরও কিছু কৃষক তাদের জমিতে অন্য ফসলের সাথে বন্ধু ফসল হিসেবে কুসুম ফুলের চাষ করেছে। ফসলের চারপাশে এই ফুলের চাষ করলে ক্ষেতের বেড়ার কাজও করে।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাখায়াত হোসেন বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলায় কুসুম ফুলের চাষ তেমন হয় না। এ বছর কিছু কিছু কৃষক তাদের জমিতে কুসুম ফুলের চাষ করেছে।