॥বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার কৃষকরা মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের পরিচিত একটি ফসল, যা অধিকাংশ মানুষেরই প্রিয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই মিষ্টি আলুর চাষ হয়ে থাকে। তবে বেলে দো-আঁশ মাটিতে মিষ্টি আলুর ফলন ভালো হয়। মিষ্টি আলু থেকে আমরা উদ্ভিজ্জ আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারি।
রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকরা কম-বেশী মিষ্টি আলুর চাষ করে আসছে। এ বছরও তারা মিষ্টি আলুর চাষ করেছে। নারুয়া, জঙ্গল ও বহরপুর ইউনিয়নে মিষ্টি আলুর চাষ বেশী হয়েছে। ক্ষেতের মিষ্টি আলুর গাছগুলো ইতিমধ্যে বড় ও হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠেছে। গাছগুলো তরতাজা হওয়ায় এবার কৃষকরা ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।
আব্দুল মজিদ নামের একজন মিষ্টি আলু চাষী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই আমি মিষ্টি আলুর চাষ করে আসছি। এ বছর ৬৫ শতাংশ জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করেছি। গাছগুলো বেশ সতেজ হয়েছে। আশা করছি কোন বিপর্যয় না হলে ভালো ফলন পাবো।
হাফিজ নামের আরেকজন মিষ্টি আলু চাষী বলেন, আমাদের নবাবপুর ইউনিয়নে গত বছরের তুলনায় এ বছর মিষ্টি আলুর চাষ বেশী হয়েছে। এই এলাকার মাটি মিষ্টি আলু চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও বেশ ভালো হয়। এ বছর ও ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
নবাবপুর ইউনিয়নের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি গত কয়েক বছর মিষ্টি আলুর চাষ করি নাই। কিন্তু এই আলুর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভালো দাম পাওয়ার আশায় এ বছর ২৬ শতাংশ জমিতে মিষ্টি আলু লাগিয়েছি। গাছগুলো বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।
কৃষকরা জানান, মিষ্টি আলু চাষে তেমন কষ্ট করতে হয় না। জমিতে মোটামুটি চাষ দিয়ে মিষ্টি আলু গাছের ডগা সেই জমিতে সারিবদ্ধভাবে লাগাতে হয়। এরপর গাছের ডগাগুলো থেকে মাটিতে শিকড় গজিয়ে বড় হতে থাকে। পরিচর্যা করলে গাছগুলোর মাটির নীচের শিকড়ে আলু ধরতে শুরু করে। বড় হলে ক্ষেত থেকে উঠিয়ে শিকড় থেকে ছাড়িয়ে আলু সংগ্রহ করা হয়।