Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২৯শে জানুয়ারী বেলা ১১টায় কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসকে মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ আশেক হাসান, সনাকের সভাপতি সভাপতি প্রফেসর শংকর চন্দ্র সিনহা ও জেলা জাসদের(ইনু) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ নিজাম মন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রাম পাল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, জেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) সামছুন্নাহার বেগম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী মায়ের ভাষার দাবীতে এদেশের দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত দেয়ায় ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। যার কারণে আজ ২০০টির অধিক দেশে ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আমাদের ভাবিষ্যৎ প্রজন্মকে ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের প্রতি এবং নিজের মায়ের ভাষার প্রতি আরো বেশী শ্রদ্ধা ও ভালাবাসা জন্মতে এই দিনটিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অত্যন্ত ভালোভাবে পালন করতে হবে। তবেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভবিষ্যতে এই দিনটিকে আরো বেশী শ্রদ্ধা ও মর্যাদা সহকারে পালন করবে। সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি সকল সরকারী প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে যাথাযথ মর্যাদায় পালন করতে হবে। রাজবাড়ীতে ২০শে ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দান সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সূচনা করা হবে। ২১শে ফেব্রুয়ারীর দিন সকল সরকারী-বেসরকারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে এই দিবসের তৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। বাদ আসর সকল মসজিদে ভাষা শহীদ ও বঙ্গবন্ধুসহ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদকে স্মরণ করে বিশেষ দোয়া করা হবে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে ১৯শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২২শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করা হবে। ২০শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২২শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রতিদিন সেখানে একুশে ফেব্রুয়ারীর তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
এছাড়াও জেলা শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী ও পাবলিক লাইব্রেরী ২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাংকন, ছড়া, রচনা ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।