॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ১৩ই জানুয়ারী সকাল ১০টায় কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে কমিটির উপদেষ্টা রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী এবং রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম, অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র উপ-পরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমান, পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন, রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী ইরাদত আলী, জেল সুপার আনোয়ারুল কবির, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম গোলদার, জেলা জাসদের(ইনু) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ নিজাম মন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্রেট মোঃ সানোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদদ, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও কমিটির অন্যান্য সদস্যগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কমিটির উপদেষ্টা রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, বিগত ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে কোন রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সম্পন্ন করায় আমার তরফ থেকে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সকল কর্মকর্তা এবং যারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের সকলেেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা মূলতঃ জেলার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য। কিন্তু এই সভায় উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়েও অনেক কিছু আলোচনা করা হয়। যেহেতু আমরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সকল সভায় থাকতে পারি না সে জন্য জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে আমাদের জানা সম্ভব হয় না। জেলার এই উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমাদের সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে জানতে হয়। সুতরাং আমরা যাতে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটিতে থেকে জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে পারি সে ব্যবস্থা করলে আরো ভালো হয়। এবারে নির্বাচিত হওয়ার পর আমাদের জন্য সবচেয়ে প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে জেলার যে সমস্ত উন্নয়ন কাজ বাকী আছে সেগুলো সম্পন্ন করা।
তিনি বলেন, রাজবাড়ীতে কিছু দিনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ পলিটেকনিক ইনস্টিউটের কাজ শুরু হবে। এ জন্য আমাদের সুন্দর একটি জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের চলমান উন্নয়ন কাজ ধীর গতিতে চলছে। আমি আশা করব কাজের গতি বাড়িয়ে এই শুষ্ক মওসুমের মধ্যেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ সম্পন্ন করবে। রাজবাড়ী রেলস্টেশনের সামনে যে লেকটি রয়েছে, পৌরসভাকে তার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রাজবাড়ীর জন্য দৌলতদিয়া ঘাট ও পতিতাপল্লী বড় একটি বড় সমস্যা। এই পতিতাপল্লীতে ইদানীং মার্ডারসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ড বেড়ে গেছে। যাতে আগামীতে এই ধরনের ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সাথে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রাজবাড়ী শহরসহ জেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চলকে রক্ষার জন্য ইতিমধ্যে সাড়ে ৪ কিলোমিটার ব্যাপী স্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে এই সাড়ে ৪কিলোমিটারের পর থেকে জেলার উড়াকান্দা থেকে দৌলতদিয়া পর্যন্ত এবং গোদার বাজার থেকে ধাওয়াপাড়া পর্যন্ত দুইটি ডিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে।
এছাড়াও তিনি রাজবাড়ী জেলার আইন-শৃঙ্খলা পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
কমিটির উপদেষ্টা রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাসহ বিভিন্ন সভায় আমরা জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু অধিকাংশ আলোচ্য বিষয় আলোচনাই সীমাবদ্ধ থাকে, বাস্তবে কার্যকর হয় না। আমরা যে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করব বা যে সকল বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেব সেগুলো যাতে বাস্তবায়ন হয় সে বিষয়ে আমাদেরকে আরো মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, রাজবাড়ীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংস্কার নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেটি নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি সাব-কমিটি গঠন করে এই সমস্যা নিরসন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের বাস টার্মিনালটি চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রাজবাড়ী অনেক রাস্তায় থ্রি-হুইলার হুইলার চলে। অনেকে ঢাকায় এসি রুমে বসে থ্রি হুইলার বন্ধের কথা বলে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। রাজবাড়ীতে সেগুলো বন্ধ করা যাবে না। কারণ জেলার অনেকে যারা অতীতে বিভিন্ন অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল তারা এখন সে পথ ছেড়ে থ্রি হুইলার চালিয়ে পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এটি বন্ধ করলে অনেকে বেকার হয়ে যাবে, যা তাদেরকেক আবার আগের পথে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আবার রাজবাড়ীতে বিভিন্ন সড়কে থ্রি হুইলার চললেও বাস মালিকরা সেগুলো চলাচলে বাঁধা দেয় না। কিন্তু পাংশা থেকে রাজবাড়ীতে যে থ্রি হুইলার আসে সেগুলো যাতে রাজবাড়ীতে না আসতে পারে সেই জন্য বাগমারয় চাল মিলের সামনে বাধা দেওয়া হয়, যা মোটেও ঠিক নয়। থ্রি হুইলার চলাচল করলে কোন হাইওয়েতেই চলবে না। এর ফলে আঞ্চলিক মনোমালিন্য তৈরী হতে পারে। তাই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আবার রাজবাড়ী রেলগেটে থ্রি হুইলারের জন্য প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে পৌর মেয়রকে অবশ্যই একটি স্ট্যান্ড তৈরী করে গাড়ী রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে স্ট্যান্ড তৈরী না করে শুধু রেলগেটে রাস্তায় উপর স্ট্যান্ড বানিয়ে ইজারা আদায় মোটেও ভালো কোন বিষয় নয়। গাড়ী রাখার ব্যবস্থা অবশ্যই পৌরসভাকে করতে হবে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রাজবাড়ী জেলায় কোন সহিংসতা না হওয়ার জন্য ও একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের আমি আমার তরফ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, রাজবাড়ী-কুষ্টিায় আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজের গতি বাড়ানোসহ শহর ও গ্রামে যে সমস্ত রাস্তার সংস্কার প্রয়োজন সে বিষয়ে আমাদের নজর দেওয়া প্রয়োজন। রাজবাড়ীতে অনেক ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশেরই পরিবেশের ছাড়পত্র বা লাইসেন্স নাই। এই ভাটাগুলোতে অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসন তাদের তদারকির মাধ্যমে যাদের পরিবেশের ছাড়পত্র বা লাইসেন্স নাই বা যারা অবাধে কাঠ পোড়াচ্ছে তাদের ব্যাপারে স্বল্প সময়ের মধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে পার্শ¦বর্তী কুষ্টিয়া জেলার মতো ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ভাটাগুলোর আগুন নিভিয়ে দিতে হবে, যাতে তারা অবৈধভাবে পরিবেশের ক্ষতি করে ভাটা চালাতে না পারে। জেলার মাদক নিয়ন্ত্রণ জেলা পুলিশসহ কোন সংস্থারই একার পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়। এ মাদক যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই লক্ষ্যে এর নিয়ন্ত্রণে যে সংস্থা কাজ করে তাদের সাথে জেলার জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিম আরো বলেন, মাদকের ব্যাপারে যেহেতু আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন সুতরাং সকল সংস্থাসহ সকলকে মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নয়-এই মন-মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নেওয়ার জন্য অপরিকল্পিতভাবে মাঝ নদী বাদ দিয়ে রাজবাড়ী জেলার একপাশ দিয়ে ড্রেজিং করার কারণে রাজবাড়ীবাসী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম। প্রথমে তিনি বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাননি। পরবর্তীতে বিষয়টি রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকসহ সকল জনপ্রতিনিধি জানেন বলার পর তিনি বিষয়টি বিশ্বাস করেছেন এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রীকে তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন। এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে আগামীতে রাজবাড়ী জেলার উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, গত ৩০শে ডিসেম্বর আমাদের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কোন ধরনের সহিংসতা ছাড়া অত্যন্ত সুন্দরভাবে শেষ করার জন্য জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন অফিস, জেলা পুলিশসহ নির্বাচনকালীন সময়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সাথে জড়িত সামরিক বাহিনী, বিজিবি, র্যাব, আনসার, অন্যান্য সংস্থা, জেলার সকল বিভাগের কর্মকর্তা, সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ জেলাবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। গত ডিসেম্বরে রাজবাড়ী জেলায় একটি খুনের ঘটনা ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা অনেক ভালো ছিল। উত্তর দৌলতদিয়ার ভোটারদের তালিকায় গ্রামের নাম উত্তর দৌলতদিয়া পতিতালয় লেখা হওয়ার বিষয় নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আমাকে ফোন করে আপত্তি জানিয়েছেন। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনেরও গোচরীভূত হয়েছে। উত্তর দৌলতদিয়া পতিতালয় থেকে পতিতালয় শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু উত্তর দৌলতদিয়া করার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গত মাসে দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর মাঝ থেকে জেলা পুলিশ অনেক চোরাই তেল উদ্ধার করেছে। এগুলো দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরীগুলো থেকে চুরি করা তেল। এর সাথে বিআইডব্লিউটিসির অসাধু কর্মচারীরা জড়িত বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। ভবিষ্যতে এই তেল চুরি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাজবাড়ীতে একটি কাস্টমস অফিস থাকা স্বত্ত্বেও তাদের কোন অভিযান পরিচালিত হয় না, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। জেলার মাদক নিয়ন্ত্রণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম পূর্বের তুলনায় অনেক মন্থর গতিতে চলছে। ভবিষ্যতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাদের কার্যক্রম আরো বাড়াবে বলে আমি আশা করি।
এছাড়াও সভায় শহরের রেলগেটে যানজট নিরসনে পৌরসভার পদক্ষেপ গ্রহণ, বাস টার্মিনাল পৌরসভা কর্তৃক সংস্কার করে চালু করার লক্ষ্যে কমিটি গঠন, পৌরসভার ময়লার ডিপো থেকে দুর্গন্ধ না ছড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ, র্যাবের মাদক মামলার প্রসিকিউশন আরো মজবুত করা-যাতে আসামীরা সহজে বের হতে না পারে, সুইমিং পুলের সামনের ফাঁকা জায়গায় শিশু পার্ক নির্মাণ, গোদার বাজারে পদ্মা নদীর তীরে নতুন বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, পৌরসভা কর্তৃক থ্রি হুইলারের জন্য স্টান্ড নির্মাণ, মুরগীর ফার্ম ও বড়পুল মোড়ের যানজট নিরসন, লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, শহর রক্ষা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত, শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, পৌর এলাকার জলাবদ্ধার দূরকল্পে পৌরসভা কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের বাস চলাচলের মধ্যে সমতা আনার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ, রাজবাড়ী বাজারে যত্রতত্র মোটর সাইকেল পার্কিং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ট্রাকে করে শহরের মধ্য দিয়ে উন্মুক্তভাবে বালু পরিবহন বন্ধ করা এবং মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিবাহসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।