॥চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে সেবা প্রদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ৪২টি পদের বিপরীতে মাত্র ১৮জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। ফলে রোগীদের ভোগান্তি পোহানোর পাশাপাশি চিকিৎসকদেরও বাড়তি চাপ সামলাতে হচ্ছে।
বর্তমানে ১০০ শষ্যার এই হাসপাতালটিতে আরও ১৫০ শষ্যা যোগ করে ২৫০ শষ্যায় উন্নীত করার কাজ চলছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটি জেলার সাড়ে ১১ লক্ষাধিক মানুষের প্রধান ভরসার জায়গা।
রাজবাড়ীর বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি পাবনার চর এলাকা থেকেও রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রতিদিন গড়ে ৮/৯শত জন রোগী ৫টাকার টিকেট করে ডাক্তার দেখান। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অথচ প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসকের নাগাল পাওয়াসহ নানাবিধ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
চিকিৎসা নিতে রাজবাড়ী সদরের আলাদিপুর ইউনিয়ন থেকে আসা মনোয়ারা বেগম বলেন, আমি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ডাক্তার দেখানোর স্লীপ (টিকেট) পাই। এরপর প্রায় ২ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ডাক্তার দেখাতে সক্ষম হই। যদি আরও বেশী ডাক্তার-কর্মচারী থাকতো তাহলে এই কষ্ট করতে হতো না।
মেয়ের চিকিৎসা করাতে আসা রফিকুর হাসান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালের ডাক্তার বাড়ানো উচিত। পরিবেশও অনেক নোংরা। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা করা দরকার। তবে আগের চেয়ে এখন অনেক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আমিও অনেক ওষুধ পেয়েছি এখান থেকে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দীপক কুমার বিশ^াস বলেন, ৪২জন চিকিৎকের পদ থাকলেও এর বিপরীতে কর্মরত আছেন ১৮জন। ২৪জন চিকিৎসকের পদ খালি পড়ে আছে। গড়ে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৯০০ জন রোগী দেখা হচ্ছে। আমাদের যা আছে তাই দিয়েই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। আগে পরিচ্ছন্নতা কর্মী কম ছিল। আমি আসার পর আরও লোক নিয়েছি।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স বলেন, জনবল যদি কোন জাগায় কম থাকে সেখানে সেবার মান কম হবেই। এটা শুধু রাজবাড়ীর জন্য সমস্যা না, দেশের সব জায়গায়ই ডাক্তারের সমস্যাটা আছে। আমরা বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শীঘ্রই সারা দেশে আরও ৭হাজার ডাক্তার পদায়ন করা হবে। সেটা হলে সমস্যাটা কমবে। আমরা আরও ভালোভাবে সেবা দিতে পারব।