Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

কেঁচো কম্পোস্ট জৈব সারের উপকারিতা

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ কেঁচো কম্পোস্ট জৈব সার দিয়ে চাষাবাদই হচ্ছে প্রাকৃতিক চাষাবাদ। জৈব পদ্ধতির উৎপাদিত ফসল মানেই বিষমুক্ত। কেঁচো কম্পোস্ট ব্যবহারে উৎপাদিত ফসলের গুণগত মান বজায় থাকে। জৈব কেঁচো সার প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব। জৈব কেঁচো কম্পোস্ট সারে উৎপাদিত ফসলের চাহিদা বেশী বিধায় ভালো দাম পাওয়া যায়।
জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদে পানি কম লাগে, মাটি সতেজ থাকে। অনুজীব বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মাটির জীবনী শক্তি বৃদ্ধি পায়। মাটির প্রাণ হলো জৈব সার। মাটি, পানি, জীব-বৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রকৃতি ও প্রজন্ম রক্ষার্থে কৃষক ও কৃষি বাঁচাতে পরিবেশ সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজন জৈব কৃষি। এটি মাটির উর্বরতা শক্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করে। জৈব সার বার বার ব্যবহার করলে রাসায়নিক সার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। জৈব সারের মধ্যে কেঁচো কম্পোস্ট অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন সার। কম খরচে ফসল উৎপাদন করা যায়। জৈব সার ব্যবহার বর্তমানে কৃষকের জন্য অত্যন্ত জরুরী বিধায় কৃষি গবেষকগণ জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন। মাটির অবক্ষয় রোধ করে কেঁচো কম্পোস্ট জৈব সার ব্যবহার করলে দীর্ঘ দিন মাটির গুণাগুণ বজায় থাকে। ফলে কৃষকদের খরচ সাশ্রয় হয়। কেঁচো কম্পোস্ট জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সকল প্রকার ফসলেই এই কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। জটিল রোগের ৯৫ শতাংশই হয় বিষাক্ত খাদ্য উপাদান ও পুষ্টির ঘাটতির কারণে। সমৃদ্ধ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন নিরাপদ খাদ্য রোগ প্রতিরোধ করে।
কেঁচো কম্পোস্ট জৈব সার ও নিম নির্যাস উৎপাদনকারী রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার মোঃ রুহুল আমিন বুলু বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০১৫ সাল থেকে কেঁচো কম্পোস্ট জৈব সার ও নিম নির্যাস উৎপাদন করছি। কেঁচো কম্পোস্ট সারের সঙ্গে নিম নির্যাস মিশ্রণ করে ফসলে ব্যবহার করলে গাছ তিতা হয়। সে কারণে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়। মাটি দুষণমুক্ত হয়। নিম নির্যাস স্প্রে করলে চারা গাছের বৃদ্ধি দ্রুত হয়। কীট পতঙ্গ ও রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। গাছের জীবনকাল বৃদ্ধি করে। শিকড়, ডালপালা ও পাতা বৃদ্ধি করে। ফল বড় ও বিষমুক্ত হয়।