॥হেলাল মাহমুদ॥ পদ্মা নদীতে প্রয়োজনীয় নাব্যতা না থাকায় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সার বোঝাই অর্ধশতাধিক কার্গো জাহাজ আটকে আছে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাবনার বাঘাবাড়ী সার ডিপোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এসব কার্গো জাহাজ দৌলতদিয়া ঘাটে এসে আটকে পড়ার পর সার খালাস করে ছোট ছোট বলগেটে(নৌযান) করে বাঘাবাড়ী পর্যন্ত নিতে হচ্ছে।
আটকে থাকা কার্গো জাহাজ এমভি মৌমিতা’র মাস্টার(ইনচার্জ) মামুন হোসেন ফকির জানান, বাঘাবাড়ী পর্যন্ত যাওয়ার জন্য নদীর যে নাব্যতা(পানির গভীরতা) দরকার তা নেই। সে জন্য আমরা এখানে সার খালাস করে বলগেটের মাধ্যমে বাঘা বাড়ীতে পাঠাচ্ছি। অর্ধেক সার আনলোড করার পর জাহাজ চলার উপযোগী হলে বাকী অর্ধেক সার নিয়ে সেখানে যাই। প্রতিটি জাহাজে গড়ে ৬শত থেকে ১২শত টন পর্যন্ত সার পরিবহন করা হয়।
এমভি সুলতান সানজা’র সুকানি(চালক) রাশেদ রায়হান জানান, এভাবে মাঝপথে আটকে পড়ে আনলোড করায় আমাদের সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে। তিনি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে কার্গো জাহাজ চলার উপযোগী নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট দাবী জানান।
এদিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এভাবে জাহাজ থেকে বলগেটে সার স্থানান্তর করার কারণে স্থানীয় ৫ শতাধিক শ্রমিক লাভবান হচ্ছে। বস্তাপ্রতি ২টাকা ১০ পয়সা হিসেবে তারা দিনে কয়েকশত টাকা আয় করতে পারছে।
আলম শেখ নামের একজন শ্রমিক বলেন, জাহাজ ঘাটে এসে আটকে যাওয়ায় তাদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে তারা খুশি।