Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

জঙ্গীবাদ বিরোধী প্রচারণাসহ জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ

॥কবির হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে গতকাল ১৩ই ফেব্রুয়ারী সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জঙ্গীবাদ বিরোধী প্রচারণাসহ জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জিনাত আরা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভান্ডারিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল এরশাদ মুহাম্মদ সিরাজুম্মুনির।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ খান, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আতাহার আলী, এনজিও রাসের নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান লাবু ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গৌতম চন্দ্র দে প্রমুখ। যুব উন্নয়নের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জিনাত আরা সমাজের উন্নয়নে যুব সমাজের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারীতে অংশগ্রহণ করেছিল হাজারো যুবক। একাত্তরের যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিল হাজারো যুবক, তাই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। যুব সমাজ কখনও অন্যায় সহ্য করেনি। আমরা কিছুদিন আগে শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে হয়ে যাওয়া লার্নিং এন্ড আর্নিং মেলায় যুবকদেরই প্রাধান্য দিয়েছি। বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হলো জঙ্গীবাদ। যুবকদেরকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে তাদেরকে ভুল পথে চালিত করছে। আমাদের ইসলামে কখনো মানুষ হত্যা সমর্থন করে নাই। মানুষ হলো আশরাফুল মাখলুকাত। যুব সমাজকে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গীবাদের দিকে আকৃষ্ঠ করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অনৈসলামিক কর্মকান্ড তিনি তুলে ধরেন। কোন স্কুলে ছাত্ররা ১০দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে আমরা তাদেরকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছি। শান্তি সবারই কাম্য। ইসলামই শান্তির ধর্ম। ইসলামিক জীবন বিধান যদি আমরা সঠিকভাবে পালন করি তাহলে কোন সন্ত্রাসী, রাহাজানিকমূলক কর্মকান্ড হতে পারে না। ভ্রান্ত পথ থেকে সবাইকে সরে আসতে হবে। সবাইকে জঙ্গীবাদের কুফল সম্পর্কে জানতে হবে।
তিনি ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং প্রশিক্ষণ থেকে পাওয়া জ্ঞান কাজে লাগানোর আহবান জানান।