Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

নারী শ্রমিকের ধর্ষণের সংবাদ পুলিশ সুপারের নজরে আসার পর মামলা

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে কোকের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে নারী শ্রমিক (১৮)কে ধর্ষণের ঘটনায় গত ৯ই ফেব্রুয়ারী দৈনিক মাতৃকন্ঠ ও দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদ পুলিশ সুপারের নজরে আসার পর অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল ১০ই ফেব্র“য়ারী ওই নারী শ্রমিক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(৪) ১/৩০ ধারায় রাজবাড়ী থানার মামলা নং-১৯ দায়ের করে। গত ৭ই ফেব্র“য়ারী দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দূর্গাপুর গ্রামে একটি ভাড়া বাড়ীতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আসামীরা হলো ঃ মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার শিব রায়ের কান্দি গ্রামের মৃত রহিম খানের ছেলে মুক্তার খান(৪৩) ও অজ্ঞাত একজন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ওই নারী শ্রমিকের বাড়ী মিজানপুর ইউনিয়নের দয়ালনগর গ্রামে। তবে দারিদ্রতার কারনে সে জামালপুর জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করতো। সেখানে কাজ করা অবস্থায় মুক্তার খানের সাথে তার পরিচয় হয়। সে কারণে তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে কথাবার্তা হতো। মুক্তার তাকে ভাল বেতনে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে অবৈধ কাজের প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজী না হলে মুক্তার বিভিন্ন উপায়ে তার সাথে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে। মুক্তার ওই জুটমিলে গিয়েও তাকে কু-প্রস্তাব দিতো। ফলে সে চাকুরী ছেড়ে গ্রামের বাড়ী চলে আসে। শ্রমিকের কাজ ছেড়ে দেয়ায় জীবন জীবিকা না চললে সে নতুন কাজকর্ম ও থাকার জন্য দূর্গাপুর গ্রামের আক্কাস মেম্বারের বাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বসবাস করতে থাকে। ওই বাড়ীতে রায়হান নামে একজন ভাড়াটিয়া ছিল। খোঁজ নিয়ে গত ৭ই ফেব্র“য়ারী রাত ১২টার দিকে উল্লেখিতরা প্রাইভেটকারযোগে মিষ্টি, কোক ও কিছু কাপড় চোপড় নিয়ে ওই বাড়ীতে এসে তার নাম ধরে ডাকাডাকি করে। এ সময় পাশের রুমে থাকা রায়হান তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। এরপর সে ঘরের দরজা খুলে দিলে তারা ঘরে প্রবেশ করে এবং মুক্তার তাকে খুব শীঘ্রই বিদেশে পাঠাবে বলে তার সাথে যেতে বলে। এতে সে অস্বীকার করায় ঘরের মধ্যে তারা ৪জন কথাবার্তা বলতে থাকে এবং তাদের আনা মিষ্টি ও কোক সবাই খায়। এসব খাওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে রায়হানের ঘুমের ঝিমটি আসলে ওই অপরিচিত লোকটি তাকে ধরে তার রুমে নিয়ে যায়। এ সময় মুক্তার খান তাকে জড়িয়ে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ভোরে এলাকার চৌকিদার বাদল এবং স্থানীয়রা তাকে ও রায়হানকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সে বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। তবে এ খবর লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৯ই ফেব্রুয়ারী দৈনিক মাতৃকন্ঠে “রাজবাড়ী সদর সূর্য্যনগরে কোকের সাথে চেতনাশক খাইয়ে নারী শ্রমিককে ধর্ষণ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।