Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

হাইওয়ে পুলিশ দিনে সরব-রাতে নীরব॥বাগমারায় মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে প্রবাসীর মাইক্রোবাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাগমারা ছোট ব্রিজ এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। গত ৪ঠা ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার উত্তর মূলগ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী আঃ বারেক শেখ(৩৮) বাদী হয়ে অজ্ঞাত ডাকাতদের আসামী করে রাজবাড়ী থানায় এজাহার দায়ের করলে সেটি ডাকাতির পরিবর্তে দস্যুতার মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
জানা যায়, ডাকাতির শিকার হওয়া আঃ বারেক শেখ সিঙ্গাপুরে থাকেন। সিঙ্গাপুর থেকে তার বাড়ীতে আসার খবর শুনে গত ২রা ডিসেম্বর পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজন খোকসা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকা বিমানবন্দরে তাকে রিসিভ করতে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনিসহ ১১জন ওই একই মাইক্রোবাসযোগে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হোন। রাত ২টার দিকে তারা রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাগমারা ছোট ব্রিজ এলাকায় পৌছালে ৮/১০ জনের একদল ডাকাত সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে তাদের মাইক্রোবাসটির গতিরোধ করে। এরপর ডাকাতেরা আগ্নেয় ও ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাইক্রোবাসের দরজা খুলে সকলকে জিন্মি করে নগদ টাকাসহ বিদেশ থেকে আনা আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল ডাকাতি করে মাঠের মধ্যে দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় সিঙ্গাপুর প্রবাসী আঃ বারেক শেখ বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করলে সেটি ডাকাতির পরিবর্তে দস্যুতার মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। রাজবাড়ী থানার মামলা নং-৬, তাং-৪/১২/২০১৮ইং, ধারাঃ ৩৯৪ দঃ বিঃ। এ খবর লেখা পর্যন্ত ডাকাতির সাথে জড়িত কেউ গ্রেফতার বা লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার হয়নি।
উল্লেখ্য, শীতের শুরুতেই রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাকাতের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় এ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
সুত্র জানায়, ডাকাতি, দস্যুতা ও দুর্ঘটনা রোধে রাতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশের টহলের বিধান থাকলেও দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ রাতের চেয়ে দিনে সরব ভূমিকা পালন করে। দিবালোকে হাইওয়ে পুলিশ যানবাহনের কাগজপত্র তল্লাসীতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেলেও রাতে মহাসড়কে অনেকটা নীরব থাকায় সড়কে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটছে বলে জনশ্রুতি আছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্তরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।