Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে ২০৫০সাল নাগাদ বিশ্বের ৩০কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ অকারণে এবং অতিরিক্ত ডোজে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স পাওয়ার তৈরি হওয়ায় ২০৫০ সালনাগাদ বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি লোক মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকবে।
গতকাল ১০ই নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক অতিরিক্ত মাত্রায় মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রাণী খাদ্য ও খামারের উৎপাদন বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।
তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে গবাদিপশু ও কৃষি পণ্যের উৎপাদন, যা জুনোটিক প্যাথোজেন্স সৃষ্টির প্রধান ক্ষেত্র। এর ফলে এখানে সংক্রামক ব্যধির সৃষ্টি হচ্ছে। যা থেকে মানব স্বাস্থ্য রক্ষায় এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স পাওয়ারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ- আইসিডিডিআরবি, পশুসম্পদ বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আরো কতিপয় সংস্থার সহযোগিতায় গতকাল ১০ই নভেম্বর সকালে আইসিডিডিআরবিতে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিশেষ করে বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহের সরকারগুলোকে আইন প্রণয়ন ও তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করে এন্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধ করতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহার সীমিত করে আনতে হবে।
একই সঙ্গে তারা আরো বলেন, এ ধরনের ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত ব্যবহারে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার ব্যাপক বিক্রির প্রচারণা বন্ধে ওষুধ কোম্পানী ও চিকিৎসকদের ওপর কঠোর নজরদারী করা প্রয়োজন।
মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রাইসুল আলম মন্ডল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশুসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. হিরেশ রঞ্জন ভৌমিক।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ান হেলথ-এর সিনিয়র কারিগরি উপদেষ্টা ও পশু চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার অধ্যাপক ডাঃ নিশিথ সি দেবনাথ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ডেপুটি এফএও প্রতিনিধি ডেভিড ডোলান ও আইসিডিডিআরবি’র সংক্রামক রোগ বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর অধ্যাপক এলেন রোস।
বাংলাদেশে এফএও-ইসিটিএডি টিম লিডার ডাঃ এরিক ব্রুম ও ‘এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স ঃ ট্রাইপেট্রিয়েল এফোর্ট টু কম্বেট’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ সেন্টার ফর কম্যুনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি) ‘আউট ব্রেক কম্যুনিকেশন এন্ড এডভোকেসি’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে।