॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দুই দফায় ৫ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরী চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট থেকে মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৬ই নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে তীব্র কুয়াশার কারণে নৌরুটের মার্কিং (বিকন বাতি) অস্পষ্ট হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরীসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। আড়াই ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রাত ২টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে ফের ফেরী চলাচল শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ভোর ৬টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে আবারও ফেরীসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ফেরীসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল শুরু হয়। কুয়াশাকালীন সময়ে দিক হারানোর ভয়ে মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে থাকতে বাধ্য হয় ৫টি ফেরী। ফেরীগুলোতে শতাধিক যানবাহনসহ বিপুল সংখ্যক যাত্রী দীর্ঘ সময় আটকা পড়ে। এ সময় তারা দুর্ভোগের শিকার হয়।
দীর্ঘ সময় ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ার উভয় ঘাটে শতশত যানবাহন নদী পারাপার হতে না পেরে সিরিয়ালে আটকে পড়ে। দূরপাল্লার নৈশকোচের যাত্রীদের মধ্যে মহিলা ও শিশুদের বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দৌলতদিয়া প্রান্তে বেলা ১১টা নাগাদ আটকে পড়া যানবাহনের সারি ফেরী ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরবর্তী গোয়ালন্দ রেলগেট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। রাতে দীর্ঘ সময় মহাসড়কে অসংখ্য যাত্রী আটকে থাকলেও পর্যাপ্ত পুলিশী নিরাপত্তার কারণে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ফেরী বন্ধ থাকার পাশাপাশি নৌরুটে ফেরীর সংকটও দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর নাগাদ এই রুটে বিভিন্ন ধরনের ১৫টি ফেরী চলছিল। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। বহরের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন ও মাধবীলতা নামের ২টি ফেরী ২ দিন ধরে বিকল হয়ে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, ঘন কুয়াশায় প্রায় ৫ ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় এবং বহরের ২টি ফেরী বিকল হওয়াতে উভয় ঘাটে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়েছে। আমরা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পার করার চেষ্টা করছি।