Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের অভিযানে পাংশার মৌরাটের আব্দুল্লাহসহ ২জন জঙ্গী চুয়াডাঙ্গায় গ্রেফতার

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের মহিষভাঙ্গা গ্রামের জমারত আলী মোল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে আপন ওরফে যিয়াদ(২০) সহ ২জন হুজি জঙ্গী চুয়াডাঙ্গায় র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে।
র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানাগেছে, গত ২৮শে জানুয়ারী ভোর সাড়ে ৫টার দিকে র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের উপ-পরিচালক মেজর মনির আহমেদের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা থানার কার্পাসডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অপর জঙ্গীর নাম রকিবুল ইসলাম রকিব(২৪)। তার বাড়ী ঝিনাইদহ জেলায়। গ্রেফতারের সময় তাদের নিকট থেকে জিহাদী বই, সার্কিট ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল¬াহ আল মামুন ওরফে আপন ওরফে যিয়াদ জানায়, সে নিষিদ্ধ সংগঠন হুজির(হরকাত উল জিহাদ) সদস্য। সে বাংলা মিডিয়ামে পড়াশুনা করেছে। ফেসবুকের মাধ্যমে কিছু লোকের সাথে তার পরিচয় হয়। এদের মধ্যে মুজাহিদ নামে একজন ছিল। সে ‘রক্তাক্ত লাঠি’ নামে ফেসবুকে লিখত। কোরআন-হাদিসের লেখা দিত যেমন, শেষ জামানার বিশ্লে¬ষণ, ইমাম মাহাদীর আগমন ইত্যাদি। মুজাহিদের এসব লেখা পড়ে মামুন আকৃষ্ট হয়। মুজাহিদের মাধ্যমে তার সাথে মোকাররম ভাইয়ের পরিচয় হয়। মোকাররম ভাই, দুনিয়া ধ্বংসের প্রান্তে, যুদ্ধ যদি শুরু হয় তখন মুসলিমদের পক্ষে সমর্থন করার জন্য তাকে আহবান জানায়। ২০১৫ সালে সে মোকাররম ভাইয়ের সাথে সরাসরি সাক্ষাত করে। পরবর্তীতে মোকাররম ভাইয়ের মাধ্যমে আবু খালেকের সাথে তার পরিচয় হয়। সে আবু খালেকের তত্ত্বাবধানে জঙ্গি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করত। তার সাথে আরও ৩/৪ জন ছিল। তারা দুটি জায়গায় নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করত। একটি হলো ঢাকায় এবং অন্যটি খুলনা। তাদের মূল কাজ ছিল বিভিন্ন স্থানে তাদের দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র সরবরাহ ও বহন করা।
রকিবুল ইসলাম জানায়, সেও নিষিদ্ধ সংগঠন হুজির সদস্য। সে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছিল এবং ২/৩ টি মসজিদে মাঝে মাঝে ইমামতি করত। এর সুবাদে ২০১৫ সালে আবু খালেক নামে তার সিনিয়র এক বড় ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়। এই আবু খালেক জিহাদের কথা বলে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হুজির সদস্য হিসেবে যোগদান করায়। এই সংগঠনের মূল নীতি হলো এই দেশে জিহাদের নামে নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা। তার মূল কাজ ছিল বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমূহের নকশা প্রস্তুত করা। আবু খালেকের মাধ্যমেই মামুনের সাথে তার পরিচয় হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।