॥আবুল হোসেন॥ নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়ায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ঘাটে বড় ফেরী ভিড়তে সমস্যা হচ্ছে। এ জন্য গত ৩ দিন ধরে গাড়ীর চাপ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ২৭শে সেপ্টেম্বর দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট থেকে ৪ কিলোমিটার জুড়ে আটকে থাকা ৬ শতাধিক গাড়ীর লাইন দেখা গেছে। এর মধ্যে পন্যবাহী গাড়ীর সংখ্যাই বেশী। যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকে ৪/৫ ঘন্টা করে আটকে থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় থেকে জানা গেছে, পানি দ্রুত কমতে থাকায় বুধবার থেকে দৌলতদিয়ার ১ থেকে ৩ নম্বর ঘাটে ফেরী ভিড়তে সমস্যা হচ্ছে। অন্যান্য ঘাটে সতর্কতার সাথে ফেরী ভিড়ছে। এই নৌপথে ১৮টি ফেরীর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে একটি ফেরী ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে বিকল হয়ে আছে। সেটিকে ঠিক করার জন্য নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে পাঠানো হবে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরী চলাচল ব্যাহত হওয়ায় অধিকাংশ ঢাকাগামী গাড়ী দৌলতদিয়া দিয়ে পার হওয়ার জন্য ভীড় করায় বাড়তি চাপ পড়েছে।
যশোর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের চালক বেলায়েত হোসেন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় দৌলতদিয়ায় পৌঁছি। রাত শেষে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পরিচিত এক দালালকে বাড়তি ৩শত টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত টার্মিনাল থেকে গাড়ী বের করার অনুমতি পাইনি। পুলিশ সিরিয়াল করে ডাকার পর টিকেটটি হাতে ধরিয়ে দিবে। তারপর টার্মিনাল থেকে গাড়ী বের করে ফেরী ঘাটে যাবো। ফেরীতে নদী পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় তার মতো আরও প্রায় ৫০০ বিভিন্ন ধরনের গাড়ী রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৭টি ফেরী থাকলেও দৌলতদিয়ার কাছে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়ায় ফেরী ভিড়তে সমস্যা হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথের ঢাকাগামী অধিকাংশ গাড়ী দৌলতদিয়ায় আসায় তিন দিন ধরে বাড়তি চাপ পড়ায় ভোগান্তি তৈরী হচ্ছে।