Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী শহর রক্ষা বেড়ীবাঁধের সিসি ব্লক ভাঙ্গনের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে —-শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী

॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ পদ্মার স্রোতে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বেড়ীবাঁধের তীর সংরক্ষণ এলাকার সিসি ব্লক ভাঙনের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ টিম আনা হবে বলে জানিয়েছেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, এমপি।
তিনি বলেন, ২০০৩ সালে নির্মিত সিসি ব্লকটি তৎকালীন সময়ের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী তোফায়েল আহম্মেদের তত্বাবধানে হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন। তিনি বলেছিলেন পদ্মার তীরে সিসি ব্লক দিয়ে নির্মিত অংশ প্রায় শত বছর টিকে থাকবে। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন এমন বিপর্যয় সে ব্যাপারে অবশ্যই তদন্ত করা হবে। এ জন্য শহর রক্ষা বাঁধ হুমকীর মধ্যে রয়েছে। যেভাবেই হোক শহর রক্ষা বেড়ীবাঁধ রক্ষা করা হবে।
গতকাল ২২শে সেপ্টেম্বর সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সোনাকান্দর ও চর সোনাকান্দর এলাকায় পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে আবার নতুন করে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, গত ৩ দিনে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বেড়ীবাঁধের তীর সংরক্ষণ এলাকার সিসি ব্লক দ্বারা নির্মিত ১৭০ মিটার অংশ পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এতে বাঁধ হুমকীর মধ্যে রয়েছে।
মিজানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা গাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, গত তিন দিনে তীর সংরক্ষণ এলাকা থেকে সিসি ব্লক ১৫-২০ হাত দূরে অবস্থান করলেও গত শুক্রবার রাতে তীর সংরক্ষণ এলাকার সিসি ব্লক ধসে যায়। এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় তলিয়ে যেতে পারে রাজবাড়ী শহর। এছাড়াও চরধুঞ্চি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মুনন্সী বিলায়েত হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় বিদ্যালয় দুটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। সরেজমিনে দেখা যায়, এই ভাঙন প্রতিরোধে ১২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার জন্য তা প্রস্তুত করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।