Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পানিবন্দী মানুষ বিপাকে কালুখালী উপজেলার বন্যা কবলিত ২০টি গ্রামে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি

॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত এসব গ্রামের প্রায় ২০হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবতের জীবন-যাপন করছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটসহ গবাদীপশু নিয়ে এসব মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। অথচ সরকারী কোন ত্রাণ সহায়তা এখনো তাদের কাছে পৌঁছেনি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের লস্করদিয়া, হরিণবাড়ীয়া, ভাগলপুর, বিজয়নগর, নারায়ণপুর, আলোকদিয়া, কালিকাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া, মাঠ কালুখালী, কামিরসহ অন্তত ২০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার মানুষ। গবাদীপশু নিয়ে তারা আরো বেশী বিপাকে পড়েছে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় বেড়েছে সাপের উপদ্রব।
হরিণবাড়ীয়া গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, প্রতি বছরই এসব এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। তবে এবার বন্যার পাশাপাশি ভাঙ্গনের কারণে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। শত শত একর জমি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়েছে, এর সাথে যুক্ত হয়েছে বন্যা। গবাদীপশু নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশী বিপাকের মধ্যে রয়েছি।
একই এলাকার সাথী আক্তার বলেন, বাড়ীতে পানি উঠায় রান্না-বান্না করায় খুব সমস্যা হচ্ছে। সেই সাথে বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়াও ব্যাহত হচ্ছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব এলাকায় এখন পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সহায়তা এসে পৌঁছেনি।
কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রায় ৩০দিন পদ্মা পাড়ের এসব মানুষ বন্যা কবলিত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কোন ত্রাণ পৌঁছেনি। এ কারণে বন্যা কবলিতদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় খাদ্য সংকট ও বিশুদ্ধ পানির প্রচন্ড অভাব রয়েছে।
এ বিষয়ে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তোফায়েল আহহেদ বলেন, বন্যা এবং ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাহায্যের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইতিমধ্যে রতনদিয়া ইউনিয়নের ১হাজার এবং কালিকাপুর ইউনিয়নের ৫শত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। যাদের খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ঘর নির্মাণের জন্য টিন দেওয়া হবে।