Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

হুমকীর মুখে চরাঞ্চলের মানুষ॥রতনদিয়া ইউনিয়নে প্রস্তাবিত সেনানিবাস এলাকাসহ কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন

॥রাকিবুল ইসলাম॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
প্রস্তাবিত রাজবাড়ী সেনানিবাস এলাকা, সাদার বাজার, লস্করদিয়া ও নারায়ণপুর অঞ্চলের কয়েকশত বাড়ী-ঘর নদী ভাঙ্গনের কবলে বিলীন হয়েছে। বিগত দুই বছর আগে রাজবাড়ী সেনানিবাস স্থাপনের জন্য চরাঞ্চলের ১৪১০ একর জমি জেলা প্রশাসন থেকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। বর্তমানে এ অঞ্চলের মানুষ হরিণবাড়ীয়া বাজার এলাকার উঁচু রাস্তার পাশে এবং কিছু মানুষ অন্যত্র দিনযাপন করছে।
গতকাল ৪ঠা সেপ্টেম্বর সকালে রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাচিনা পারভীন নিলুফা সরেজমিনে পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বলেন, রতনদিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে প্রায় বিশ হাজার লোকের বসবাস। এ অঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় তারা অসহায় জীবন-যাপন করছে। এ সময় রতনদিয়া ইউপির সদস্য মাসুদুর রহমান হিটু ও সাবেক সদস্য মফিজুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, পাংশা উপজেলার হাবাসপুরের উজান পয়েন্টে বিআইডব্লিউটিসির মাধ্যমে নদীতে ড্রেজিং করে পাবনা জেলার অংশে বালু ফেলার কারণে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। অতিদ্রুত এ ভাঙ্গনরোধের পদক্ষেপ না নিলে কালুখালী উপজেলার ১০টি মৌজা এবং প্রস্তাবিত রাজবাড়ী সেনানিবাসের সম্পূর্ণ জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তিনি নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষের জন্য সরকারীভাবে ত্রাণ বিতরণ এবং অতিদ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।