॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফেরী থাকলেও গতকাল শনিবার গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় বিপুল সংখ্যক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আটকে ছিল।
শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌপথের গাড়ি এই রুট ব্যবহার করায় ও পশুবাহি অতিরিক্ত গাড়ি আসায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরী পারাপার ব্যাহত হলেও বিপুল সংখ্যক গাড়ি এই নৌপথ দিয়ে নদী পাড়ি দিচ্ছে।
গতকাল ১৮ই আগস্ট দুপুরে দেখা যায়, সকাল নয়টা পর্যন্ত ফেরী ঘাট থেকে মহাসড়কের প্রায় সাত কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন ছিল। বেলা বাড়ার সাথে দূরপাল্লার পরিবহন ও পশুবাহি গাড়ি কম আসতে থাকে। দুপুর থেকে গাড়ির লাইনের দৈর্ঘ্য কমে গোয়ালন্দ ফিডমিল পর্যন্ত দাড়ায়। যাত্রীবাহি বাসগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। ঢাকাগামী যাত্রী তেমন না থাকলেও রাজধানী ছেড়ে ঈদ করতে আসা যাত্রীদের আনতে এসব বাস ছুটছে। পশুবাহি গাড়ি দৌলতদিয়া চারলেন সড়কে প্রবেশ করামাত্র ডানপাশ দিয়ে সরাসরি ফেরীতে উঠছে। তবে কিছু দালাল কৌশলে এসব পশুবাহি ও পন্যবাহি গাড়ির চালকদের থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাগুরার থেকে ট্রাকে ১৪টি ষাঁড় গরু নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকা যাচ্ছিলেন গরুর বেপারীর হাফিজুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। রাতে গোয়ালন্দ মোড় পার হয়ে ঘাট থেকে প্রায় ১০কিলোমিটার দূর খানখানাপুর ব্রিজে যানজটে আটকা পরি। গতকাল শনিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত তার মতো এভাবে সহস্রাধিক গাড়ি আটকা ছিল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন সংস্থা(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, গত শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে গতকাল শনিবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত দৌলতিদয়া ঘাট দিয়ে প্রায় ৩হাজার ৫৬৫টি গাড়ি পার হয়। এই নৌপথ থেকে শুক্রবার বিকেলে ‘কুমারী’ নামক কে-টাইপ(মধ্যম) আকারে ফেরীটি দাউদকান্দি নৌপথে নিয়ে যায়। তবে ওই দিন ভাষা শহীদ বরকত নামের আরেকটি রো-রো(বড়) ফেরী এই নৌপথে যোগ দিয়েছে। বর্তমানে ১১টি বড়, একটি মধ্যম এবং ৮টি ছোট ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌপথে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরী চলাচল ব্যাহত হওয়ায় অনেক গাড়ি এই নৌপথ দিয়ে আসছে। এছাড়া পশুবোঝাই গাড়ির চাপ এবং নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরী চলাচলে প্রায় দ্বিগুন সময় লাগায় গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরী হচ্ছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত এ ধরনের গাড়ির চাপ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন।