Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ঘন কুয়াশায় সাড়ে তিন ঘন্টা ফেরী বন্ধ॥মাঝ নদীতে আটকা ৫টি ফেরী

॥আবুল হোসেন॥ ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল বুধবার ভোর পাঁচটা থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরীসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে গাড়ি নিয়ে আটকা পড়ে পাঁচটি ফেরি। নৌযান বন্ধের কারণে উভয় ঘাটে আটকা পড়ে কয়েক’শ গাড়ি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে পদ্মা নদী অববাহিকায় কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সাথে কুয়াশা বাড়তে থাকলে ঝুকি নিয়ে ফেরী চলাচল অব্যাহত রাখে কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে সামান্য সামনের কিছুই দেখতে না পেয়ে গতকাল বুধবার ভোর পাঁচটা থেকে ফেরীসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো-রো(বড়) এনায়েতপুরী, শাহ জালাল, ভাষা শহীদ বরকত, কেরামত আলী ও ইউটিলিটি(ছোট) রজনীগন্ধা নামক পাঁচটি ফেরী মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। ফেরীগুলোতে প্রায় ৩৫টির মতো যাত্রীবাহি বাস, ১৫টি পণ্যবাহি ও ১৫টির মতো ছোট গাড়ি ছিল। যাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় ১২০০জনের মতো। কুয়াশা ও শীতের মধ্যে মাঝ নদীতে আটকে থাকা এসব যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হন।
এ সময় দৌলতদিয়া ঘাটে খান জাহান আলী, কুমারী, শাপলা শালুক ও বনলতা এবং পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আমানত শাহ, ভাষা সৈনিক ড. গোলাম মওলা, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, হাসনা হেনা, কাবেরী, কপোতি ও চন্দ্র মল্লিকা নামক আরো সাতটি ফেরী নোঙ্গর করে ছিল। সকাল সাড়ে আটটার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে পুনরায় ফেরী চলাচল শুরু করে। সাড়ে তিন ঘন্টার মতো ফেরী সহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়ে কয়েক’শ গাড়ি।
গতকাল বুধবার সকালে দেখা যায়, ফেরী ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত এক সারিতে যাত্রীবাহি বাসসহ পণ্যবাহি বেশ কিছু ট্রাক ফেরী পারের অপেক্ষায় সারিবদ্ধভাবে লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছে। দক্ষিণাঞ্চলে পণ্যবাহী গাড়ি ধর্মঘটের কারণে গাড়ির চাপ অনেকটা কম ছিল বলে আটকে থাকা কয়েকজন চালক জানান। তবে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কারণে গতকাল বুধবার দুপুরের পর থেকে ফের গাড়ির চাপ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন আটকে থাকা চালকরা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, ধর্মঘটের কারণে পণ্যবাহি গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় কম থাকলেও গতকাল বুধবার ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে সাড়ে তিন ঘন্টার মতো নৌযান বন্ধ থাকায় গাড়ির চাপ বাড়ে। দুপুরের আগে সেসব গাড়ি পার হতে পারলেও দুপুরের পর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত গাড়ির চাপ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।