Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

চলতি বছরেই দ্বীপসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং প্রতিটি বাড়িতেই ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া হবে —–তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের জন্য
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
॥স্টাফ রিপোর্টার॥ মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন(এটুআই) প্রোগ্রামের যৌথ আয়োজনে গতকাল ২৭শে জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও মাঠ প্রশাসনের করণীয় নির্ধারণ করাই ছিল এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য।
কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তথা তথ্য ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে ১২শত ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি বাড়ীতে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ইনফো সরকার-৩ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে ২৬শত ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরেই দ্বীপসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগের লক্ষ্যে ইডিসি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় ২১টি পপ তৈরী করা হয়েছে যেখান থেকে জেলা পর্যায়ে সরাসরি ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যাবে। তিনি জেলা প্রশাসকদের ইন্টারনেট সংযোগ সংশ্লিষ্ট যে কোন সমস্যায় তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।
কর্মশালার উদ্বোধন অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,এমপি।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের নিবিষ্ট নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত ই-গভর্নেন্স ইনডেস্কে বিগত চার বছরে ৩৩ ধাপ এগিয়ে ১১৫তম অবস্থানে এসেছে। তিনি জেলা প্রশাসকদের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রসৈনিক বলে অভিহিত করে আরো বলেন, ডিজিটাল সেবার ফলে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ২৪ ঘন্টা সেবা পাচ্ছেন। জেলা প্রশাসকগণের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতার জন্যই জনগণ এখন নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই প্রোগ্রাম নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এ উদ্যোগ সমূহের সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
কর্মশালায় ৮বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে সকল জেলা প্রশাসককে ৮টি দলে বিভক্ত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন ই-মিউটেশন, ই-নথি, জেলা ব্র্যান্ডিং, ই-কমার্স, ৩৩৩, কানেক্ট ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ইনোভেশন টিম, একশপ, জাতীয় তথ্য বাতায়ন ইত্যাদির সফল বাস্তবায়নের নিমিত্তে মাঠ প্রশাসনের করণীয় নির্ধারণ ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর কার্যক্রমকে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ কিভাবে আরও বেগবান করতে পারেন তা নিয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। সমাপনী অধিবেশনে দলীয় কাজ থেকে প্রাপ্ত সকল সুপারিশ পর্যালোচনা ও বাস্তবায়নে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই প্রোগ্রামের সমন্বিতভাবে কাজ করার কথা ঘোষণা করা হয়।
কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব(সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব(মাঠ প্রশাসন) ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম-সচিব ও ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান(পিএএ), পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী, পরিচালক(ই-সার্ভিস) ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, দেশের সকল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই প্রোগ্রামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।