Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পাংশায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে পাবনার চরমপন্থী বাহিনীর দলনেতা লালন নিহত

॥মোক্তার হোসেন॥ পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউপির চর আফড়া গ্রামের কাটাজোলা খালের পশ্চিম পার্শ্বে গতকাল ২৭শে জুলাই ভোর রাতে পুলিশের সাথে সর্বহারা চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের বন্দুক যুদ্ধে সর্বহারা লাল পতাকা জুলহাস বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। লালন হলদার(৪২) নিহত হয়েছে।
নিহত লালন হলদার পাবনা জেলার সুজানগর থানার গোবিন্দপুর গ্রামের জিতেন হলদারের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি একনালা বন্দুক, ১টি ওয়ান শুটারগান, ৪টি গুলির খোসা ও ২টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাধন ও জালাল নামের দুইজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হলে তাদেরকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সৈয়দ সাজেদুর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে গত ২৬শে জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার হাবাসপুর ইউপির হাবাসপুর পদ্মা নদীর বেড়িবাঁধ থেকে সর্বহারা চরমপন্থী লাল পতাকা জুলহাস বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড লালন হলদারকে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধ অস্ত্র-গুলি থাকার কথা স্বীকার করলে লালন হলদারকে সাথে নিয়ে পুলিশ রাত ২টার দিকে হাবাসপুর ইউপির চর আফড়া গ্রামের কাটাজোলা খালের পশ্চিম পার্শ্বে অবৈধ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার অভিযানে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা লালন হলদারের সহযোগিরা অতর্কিত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষন করে। পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে ১৮রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। পুলিশ-সন্ত্রাসী বন্দুক যুদ্ধে বুকে গুলিবিদ্ধ হলে আহত অবস্থায় চরমপন্থী লালন হলদারকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বন্দুকযুদ্ধের সময় সাধান ও জালাল নামের দুইজন কনস্টেবল আহত হন। তারা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। বন্দুক যুদ্ধের সময় গুলির শব্দে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী লালনের সহযোগি ৭/৮জন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে পালিয়ে যায়।
বাহাদুরপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সৈয়দ সাজেদুর রহমান জানান, পুলিশ-সন্ত্রাসী বন্দুক যুদ্ধে নিহত লালন সরদার সর্বহারা চরমপন্থী লাল পতাকা জুলহাস বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সে একজন পেশাদার কিলার, টাকার বিনিময়ে মানুষ হত্যাকারী। সে রাজবাড়ী সদর থানার মামলা নং-১১, তাং-১০/১২/২০০০, ধারাঃ ৩৯৫/৩৯৭/৪১২ পেনাল কোড মামলার ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ফরিদপুরের কতোয়ালী থানার মামলা নং-৩২, তাং-২১/১২/২০০০, ধারাঃ অস্ত্র আইনের ১৯(এ)(এফ) মামলার ১০বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। বালিয়াকান্দি থানার মামলা নং-১১, তাং-২২/০৮/২০০০, ধারাঃ ৩৬৫/৩৪ পেনাল কোড মামলার আসামী এবং রাজবাড়ী সদর থানার মামলা নং-৩০, তাং-২৪/০৮/২০১২, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড চাজশীর্টভূক্ত আসামী।
চরমপন্থী লালন নিহত ও অবৈধ অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের ঘটনায় পাংশা থানায় পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।