Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

র‌্যাবের অভিযানে শর্টফিল্মের নামে ইউটিউবে অশ্লীল ভিডিও প্রচারকারী চক্রের ২জন সদস্য গ্রেফতার

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ফরিদপুরে র‌্যাবের অভিযানে শর্টফিল্মের নামে ইউটিউবে আপত্তিকর ভিডিও প্রচারকারী চক্রের ২জন সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল ২৭শে জুলাই সকালে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানাধীন হাউজিং এস্টেট ও নগরকান্দা বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ঃ ফরিদপুরের নগরকান্দা থানাধীন ছাগলদী গ্রামের হেদায়েত তালুকদারের ছেলে রাসেল তালুকদার(২৩) এবং সোহেল রানা(২১)। তারা দু’জন আপন সহোদর।
র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্প সুত্রে জানাগেছে, গ্রেফতারকৃতরা শর্টফিল্মে অভিনয়ের নামে তরুণ-তরুণীদের ভিডিও ধারণের পর তার বিকৃত করে অশ্লীলভাবে তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল জঃা ইধহমষধ-তে উপস্থাপন করে। ফরিদপুরে কর্মরত ওষুধ কোম্পানীর একজন তরুণ কর্মকর্তাকে নায়ক এবং দক্ষিণ ঝিলটুলিতে বসবাসরত একজন গৃহবধুকে নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে উক্ত ধারনকৃত ভিডিওসমূহ অশালীন ও আপত্তিকরভাবে তাদের ইউটিউব চ্যানেল জঃা ইধহমষধ-তে প্রচার করে। তারা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে গত ২৫শে জুলাই দুপুর ২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তাদেরকে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানাধীন হাউজিং এস্টেটে অবস্থিত জনৈক কাইয়ুম মাস্টারের মালিকানাধীন ৬তলা ভবনের ৫ম তলার একটি ফ্লাটে তাদেরকে আটকে রেখে ১লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। পরবর্তীতে তারা ৪৪হাজার টাকা প্রদানের মাধ্যমে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পায়। জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার পাওয়ার পর তারা বিষয়টি র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পকে অবহিত করে আইনগত সহায়তা কামনা করে।
তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল গতকাল ২৭শে জুলাই সকালে হাউজিং এস্টেট এলাকার ওই ফ্লাটে অভিযান চালিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও বিপুল পরিমাণ সিমসহ রাসেল তালুকদারকে গ্রেফতার করে। ওই সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে রাসেলের সহযোগী মেহেদী হাসান ওরফে আশিক কৌশলে পালিয়ে যায়। সে নগরকান্দা থানাধীন মধ্যজাগদিয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। পরে রাসেলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার ছোট ভাই সোহেল রানাকে নগরকান্দা বাজার এলাকার বিকাশ এজেন্ট ও মাল্টিমিডিয়া সার্ভিস পয়েন্ট এন্ড স্টুডিও নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আদায়কৃত মুক্তিপণের ৩৬ হাজার ২৬০ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।