Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন॥রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের খানাখন্দর পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে!

॥হেলাল মাহমুদ॥ রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের খানাখন্দগুলো যেন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলতি বর্ষা মৌসুম ও আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের আরো ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে স্থানীয়রা মনে করছে।
সরেজমিনে আঞ্চলিক এ মহাসড়কের রাজবাড়ী জেলার কালুখালী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে পানি জমে আছে। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলের সময় গর্তে থাকা পানি ছিটে পথচারীদের জামাকাপড় নষ্ট হচ্ছে।
ওই এলাকার ইজিবাইক চালক রফিক মোল্লা বলেন, মহাসড়কে খানাখন্দ থাকায় আমরা ঠিকমতো গাড়ী চালাতে পারি না। ঝাঁকুনী লাগায় যাত্রীরা বিরক্ত বোধ করে।
ট্রাক চালক আজাদ হোসেন বলেন, খানাখন্দ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে লোডগাড়ী চালাতে হচ্ছে। এ ছাড়াও তীব্র ঝাঁকুনীতে মাথা ব্যাথা করে। ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থাকে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা শুনেছি খুব তাড়াতাড়ি এই সড়কের কাজ শুরু হবে। কিন্তু কবে নাগাদ শুরু হবে সেটা জানি না।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কটির সংস্কার, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। কাজটি শুরু হলে আগামী ঈদুল আযহার সময় যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে বলে তারা আশা করছেন।
উল্লেখ্য, ২২২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ীর তালতলা থেকে পাংশার শিয়ালডাঙ্গী পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটারের দ্বিতীয় অংশের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। নাটোরের মীর হাবিবুল আলম কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে। ২মাস আগে ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে তারা কাজ শুরু করেছে। কাজটি বাস্তবায়নের সময়কাল ধরা হয়েছে ২বছর।