॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর ঘটনায় অভিযুক্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের বার্থা খানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার নাগ এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান মোল্লা হবির অপকর্ম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
গতকাল ১০ই জুলাই সন্ধ্যায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে রাজবাড়ী জেলা মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি লাইলী নাহার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডাঃ পূর্ণিমা দত্ত, আঞ্জুমান আরা, সাগুতা সরকার ও গুলশান আরা মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপি গ্রহণের পর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী ঘটনাগুলো সত্বর তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কন্যা শিশুদের উপর যৌন হয়রানী মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়ছে। বিকৃত রুচির শিক্ষকদের দ্বারা এ ধরণের ঘটনায় অভিভাবকরা শঙ্কিত ও সচেতন সমাজ বিক্ষুদ্ধ। গত ০৯/০৭/২০১৮ইং তারিখে বার্থা খানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার নাগ কর্তৃক ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে এবং কিছুদিন পূর্বে পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের ডেপুটেশনের শিক্ষক নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা হবি কর্তৃক ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাগুলোর বিষয়ে দৈনিক মাতৃকণ্ঠ ও কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অভিযুক্ত ওই ২শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরণের ঘটনা আগেও ঘটেছে। প্রতিবারই তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে পাড় পেয়ে যায়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই বিকৃতরুচির শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। বিচারহীনতা ও আইনী দুর্বলতার কারণে এ ধরণের পাশবিক ও বিভৎস ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে।
উক্ত ঘটনা দুটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সর্বস্তরে শিশু কন্যাসহ সকল বয়সী নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছি।