Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী রোটারী ক্লাবের পক্ষ থেকে ডায়াবেটিক সমিতিকে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী ডায়াবেটিক সমিতির কাজী হেদায়েত হোসেন মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতালের জন্য ১২লক্ষ টাকা মূল্যের একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়েছে রোটারী ক্লাব অব রাজবাড়ী চন্দনা। গতকাল ৬ই জুলাই সকালে রাজবাড়ী ডায়াবেটিক সমিতির কার্যালয়ে সমিতির সভাপতি ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর হাতে চাবি তুলে দিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি হস্তান্তর করেন রোটারী ক্লাবের কর্মকর্তাগণ।
এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী, রাজবাড়ী ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোঃ ফেরদৌস, রোটারিয়ান এডঃ গনেশ নারায়ন চৌধুরী ও রোটারী ক্লাব অব রাজবাড়ী চন্দনার সভাপতি নাহিদা ইসলাম বক্তব্য দেন।
এ সময় পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ হাসান ওদুধ, রাজবাড়ী ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সম্পাদক ওয়াজিউল্লাহ মন্টু, রোটারিয়ান ডাঃ পারিজাত কুমার পাল, এডঃ মোঃ উজির আলী শেখ, নারী নেত্রী এডঃ দেবাহুতি চক্রবর্তী ও রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, কাজী হেদায়েত হোসেন মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতালে খুব শীঘ্রই ডাক্তার নিয়োগ ও হাসপাতালের কার্যক্রম চালু করা হবে। এছাড়াও চলতি বছরে এখানে নার্সিং ইনস্টিটিউট চালু করা হবে।
তিনি বলেন, রাজবাড়ী ডায়াবেটিক সমিতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে রাজবাড়ীবাসী এখান থেকে আরো বেশি সেবা পাবে।
তিনি কাজী হেদায়েত হোসেন মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতালের জন্য তিনি আরো একটি এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবেন বলেন জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, এই হাসপাতালের সেবা আমি নিজেও গ্রহণ করি। কাজী হেদায়েত হোসেনের উত্তরসূরীরা এই হাসপাতালটি গড়ে তুলেছেন। এই হাসপাতালের মেশিনারীজ ক্রয় কমিটির আমি সভাপতি। এই অর্থ বছরে এখানে ২কোটি টাকার মেশিনারীজ ক্রয় করা হয়েছে। মেশিনারীজগুলো ক্রয়ের ক্ষেত্রে সেগুলো যাতে নিম্নমানের না হয় আমি সেদিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।
রাজবাড়ী ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, গরীব রোগীদের জন্য আমরা বিনামূল্যে ইন্সুলিন দিয়ে থাকি। আগামীতে এখান থেকে রোগীদের আরো বেশি সেবা দিতে পারবো।
পরে কাজী হেদায়েত হোসেন মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতাল প্রাঙ্গনে ফলজ বৃক্ষ রোপন করা হয়।