Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের দরিদ্র মানুষের মধ্যে জি.আর চাল বিতরণ করলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী গতকাল ৬ই জুলাই প্রধান অতিথি হিসেবে রাজবাড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ৩ শতাধিক দরিদ্র মানুষের মধ্যে জি.আর চাল বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, রাজবাড়ী সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী নূর উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস.এম মনোয়ার মাহমুদ, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসান গাজী, যুগ্ম-সম্পাদক পলাশ কুমার সাহা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, রিয়াজুল হাসান বনি, শামসু, পাভেল, রমেল, রকি, বাবু মন্ডল, ফিরোজ আহম্মেদ, মফিজ উদ্দিন ও বাবরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি এ.জে মিন্টুর উদ্যোগে রাজবাড়ী সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এই চাল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী এমপি বলেন, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড অত্যন্ত অবহেলিত ও নানা সমস্যায় জর্জরিত। এই ওয়ার্ডে অনেক দরিদ্র মানুষ বসবাস করে। আজকে যে চাল দেয়া হচ্ছে তা সবাইকে দেয়া সম্ভব না হলেও আগামীতে সবাইকে দেয়া হবে। বর্তমান সরকার দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনেও নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
তিনি এই চাল বিতরণের উদ্যোগ নেয়াসহ সবসময় ৫নং ওয়ার্ডবাসীর পাশে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা এ.জে মিন্টুর প্রশংসা করেন এবং তাকে সহযোগিতা করে যাওয়ার আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, আসলেই ৫নং ওয়ার্ড অত্যন্ত অবহেলিত। এ ওয়ার্ডবাসীর সমস্যা সম্পর্কে আমি অবগত। গতবার জলাবদ্ধতার সময় এ.জে মিন্টু আমাকে নিয়ে এসে ঘুরে ঘুরে সব দেখিয়েছিলেন। ৫নং ওয়ার্ডবাসীর জন্য আমার দপ্তর সবসময় খোলা থাকবে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা এ.জে মিন্টু ৫নং ওয়ার্ডের বিদ্যমান সমস্যাগুলো তুলে ধরে বলেন, ওয়ার্ডে পৌরসভার যে ড্রেন রয়েছে তা নির্মাণের পর থেকে একবারও পরিষ্কার করা হয়নি। এর পাশাপাশি পানি নিষ্কাষন হওয়ার কয়েকটি কালভার্টও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে গতবারের মতো এবারও ভয়াবহ জলাবদ্ধতা হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি জরুরী ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বললে তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।